গ্রন্থগারিককে বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে গণডেপুটেশন সিউড়ীতে
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত গ্রন্থাগারের পাশাপাশি বীরভূমের নানুরেও রয়েছে চন্ডীদাস স্মৃতি পাঠাগার।সেখানে গ্রন্থগারিক হিসেবে কর্মরত অনিতা মুখোপাধ্যায়। সরকারি আদেশনামায় উনার অন্যত্র বদলীর আদেশকে কেন্দ্র করে এলাকায় জনমানসে ক্ষোভ বিক্ষোভের সঞ্চার হয়।বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকার প্রায় তিন শতাধিক সাধারণ মানুষ ও পাঠাগারের সদস্যদের গণ স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ডেপুটেশন পেশ করা হয় বীরভূম জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজির কাছে। পরে জেলা গ্রন্থাগার অফিসে গিয়েও গণ সাক্ষরিত ডেপুটেশন পেশ করা হয়। প্রতিনিধি ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন অবসর প্রাপ্ত প্রানী চিকিৎসক ডাক্তার হারাধন চট্টোপাধ্যায় এবং বরিষ্ঠ সাংবাদিক সনাতন সৌ। প্রতিনিধিগণ জেলা গ্রন্থাগারিকের কাছে অমাণবিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানান।সেইসাথে জনস্বার্থে অবিলম্বে বদলীর আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে এবং অনিতা মুখোপাধ্যায়কে এই পাঠাগারে পুনর্বহাল রাখতে হবে বলে দাবী জানানো হয়। প্রতিনিধিগন এক সাক্ষাৎকারে বলেন,সরকারি আদেশে বলা হয়েছে , দুই বছরের মধ্যে যে সমস্ত কর্মী চাকুরী করছেন কিংবা অবসরের মুখে আছেন তাঁদেরকে কোনোভাবেই বদলী করা যাবে না। উল্লেখ্য নানুর গ্রন্থাগারিক অনিতা মুখোপাধ্যায়ের আর মাত্র ২২ মাস চাকুরী আছে।সেক্ষেত্রে তাঁকে এভাবে বদলী আদেশ দেওয়া হলো কেন?
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা গ্রন্থাগার অফিসের পক্ষে আনারুল হক বলেন, এবছর বীরভূমে ৩৬ জন নতুন লাইবেরীয়ান পদে চাকরিতে যোগদান করবেন। মূলত তাঁদের জন্যই সরকারি আদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন লাইব্রেরীতে লাইব্রেরীয়ানদের বদলী করতে হচ্ছে। তবে নানুর চন্ডীদাস স্মৃতি পাঠাগারের ক্ষেত্রে এক আলোচনার মাধ্যমেই সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে জেলা শাসকের পক্ষ থেকে চিঠি মারফত নানুর গ্রন্থাগারের বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বলে প্রতিনিধিদের বক্তব্য ।বিশেষ উল্লেখযোগ্য যে, নানুর চন্ডীদাস স্মৃতি পাঠাগারের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বর্তমান লাইব্রেরীয়ান অনিতা মুখোপাধ্যায় নিরলস পরিশ্রম করেছেন এবং গ্রন্থাগার কক্ষকে মনের মতো সাজিয়েছেন। নিজে একজন সংস্কৃতি প্রেমিক। উনার উপস্থিতিতে এই গ্রন্থগারের এক উজ্জ্বল মহিমা, প্রতি মাসে নিয়মিত সাহিত্য সভা থেকে শুরু করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন মনোরঞ্জন মূলক অনুষ্ঠানের ও আয়োজন করে থাকেন বলে এলাকায় সবার কাছে অনীতা মুখার্জী এক চর্চিত নাম। স্বভাবতই তাঁকে হঠাৎ এভাবে অন্যত্র বদলীর আদেশে এলাকার সাধারণ মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন।