জেলা ব্যাপী মহাসমারোহে খুশির উৎসব ঈদ উৎসব পালন, বীরভূমে

Spread the love

জেলা ব্যাপী মহাসমারোহে খুশির উৎসব ঈদ উৎসব পালন, বীরভূমে

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের সবচেয়ে বড় উৎসব, খুশির উৎসব, ঈদ উৎসব।দীর্ঘ একমাস রোজা বা উপবাস তথা পবিত্র রমজান মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ- উল- ফিতর।ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে রমজান মাসের শেষে সওয়াল মাসের চাঁদ দেখা দিতেই ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে নেমে আসে আনন্দের ঢল। সেই হিসেবে আজ সওয়াল মাসের ১ তারিখ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় ঈদ উল ফিতর। দেশ ও রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূম জেলা জুড়েও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাসমারোহে পালিত হয় ঈদ উৎসব। ঈদ উপলক্ষে নাত, গজল, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের খবর পাওয়া গেছে রাজনগর, খয়রাসোল, দুবরাজপুর, মহম্মদ বাজার, সিউড়ি, রামপুরহাট সহ বিভিন্ন স্থানে। পাশাপাশি জেলার পাথরচাপুড়ি, খুষ্টিগিরী, দুবরাজপুর, খন্নি, গাইসাড়া শরীফ প্রভৃতি স্থানে বিরাজমান পীর ওলীদের মাজার জিয়ারত করার চিত্র ও দেখা যায় ভক্তদের মধ্যে। অনুরূপ
বীরভূমের পাড়ুই থানার খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফ প্রাঙ্গণে সকাল আটটায় শুরু হয় পবিত্র ঈদ উল ফেতেরের নামাজ। খুষ্টিগিরী সহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম এমনকি ভিন জেলা থেকেও অজস্র মানুষ যথা সময়ে ঈদের নামাজের জামাতে সামিল হন। দীর্ঘ এক মাস রোজাব্রত পালনের মাধ্যমে ত্যাগ-সংযম অনুশীলনের পর বাস্তবিকই এই ঈদ সবার মনে জাগিয়ে তোলে খুশির জোয়ার। পবিত্র ঈদ উল ফেতেরের নামাজ শেষে সবাই একে অপরকে আলিঙ্গন করেন, কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে সকলকে মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ করেন খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের বর্তমান মোতাওয়াল্লী ও সাজ্জাদানেশীন হজরত সৈয়দ শাহ হাফিজুর রহমান কেরমানী সাহেব। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে পুণ্যতীর্থ খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফ দর্শনে ও সুফি সাধক হজরত আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) এঁর মাজার শরীফ জিয়ারতে স্থানীয় ও দূরবর্তী এলাকা থেকে সব ধর্মের মানুষজন ভিড় জমান। পূণ্যার্থীদের সমাগমে খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফ সম্প্রীতির মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়ে ওঠে।
খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের মোতাওয়াল্লী ও সাজ্জাদানেশীন হজরত সৈয়দ শাহ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান কেরমানী এক সাক্ষাৎকারে বলেন- দীর্ঘ একমাস রোজা পালনের মাধ্যমে আত্মত্যাগী, সংযোমী, ন্যায়পরায়ণ হয়। সততার সঙ্গে জীবন জীবিকা পরিচালন করে থাকে। একমাসের অনুশীলন থেকে যে শিক্ষা, তা বাকি এগারো মাস যেন সংযত ভাবে জীবন যাপন করতে পারি। ত্যাগ, তিতিক্ষা, মানবতা, উদারতা কাটিয়ে তুলি। রোজার মাসের আদর্শ স্থায়ীত্ব লাভ করুক
এই প্রার্থনা জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *