জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা থানা এলাকাকে শান্ত রাখতে পুলিশের তৎপরতা

Spread the love

জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা থানা এলাকাকে শান্ত রাখতে পুলিশের তৎপরতা

।:—সাধন মন্ডল, বাঁকুড়া:——-একদা মাওবাদী প্রভাবিত জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা থানা এলাকা ছিল আতঙ্কের। রাজ্যে মা মাটি মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে জঙ্গলমহল শান্ত হয় ।২০১১ সালের পর থেকে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের দাপট কমে যায় , আর মানুষের মৃত্যু হয়নি ,হয়নি যৌথ বাহিনীর বুটের শব্দ, হয়নি গুলির শব্দ ও গুলির লড়াই। এই সারেঙ্গা বাজারে গোবিন্দপুর মোড়ে মাওবাদীদের সাথে গুলির লড়াইয়ে তৎকালীন সারেঙ্গা থানার আইসি রবীলোচন মিত্র মারা যান। শান্ত জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা থানা এলাকায় প্রথম মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছিলেন সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন সভাপতি শিবরাম সৎপতি। তারপর থেকেই আতঙ্কের থানা ছিল সারেঙ্গা। কোন পুলিশ অফিসারের সারেঙ্গা থানাতে বদলি হয়ে আসার অর্ডার হলে বাড়ির লোক আতঙ্কে ভুগতেন। সেই সারেঙ্গা এখন শান্ত এবং তাকে আরো বেশি শান্ত রাখতে সারেঙ্গা থানা পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর আগের পুলিশ আধিকারিক (আইসি) বৃন্দ এলাকার রাজনৈতিক দলগুলি ,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলি ও এলাকার বুদ্ধিজীবী, সমাজসেবী বিশিষ্ট মানুষকে নিয়ে বারবার আলাপ-আলোচনা করেছেন এবং তৎকালীন পুলিশ সুপারদের সার্বিক সহযোগিতায় নানান জনসংযোগ মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং তা সাফল্যের সাথে পালন করা হয়। যার ফলস্বরূপ আজ জঙ্গলমহল শান্ত। এই জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা, রাইপুর, রানিবাঁধ ,সিমলাপাল থানা এলাকাকে শান্ত রাখতে আরো বেশি তৎপর বর্তমান পুলিশ আধিকারিক বৃন্দ ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সারেঙ্গা থানা পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ এলাকায় কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সদা তৎপর ও সতর্ক ।সারেঙ্গা থানার আইসি সুদীপ হাজরা দিন রাত এক করে থানা এলাকার এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চরকির মতো ঘুরে চলেছেন। কোন এলাকায় কি রকম সমস্যা এবং সেই সমস্যার সমাধানে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখছেন এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথেও কথা বলছেন বলে সূত্র মারফত জানা যায়।রাস্তার মাঝে অযথা সাইকেল, মোটরসাইকেল, ছোট গাড়ি, টোটো রেখে রাস্তা সংকীর্ণ করার প্রয়াসকে নিজের হাতে দমন করে চলেছেন। প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে আজ সারেঙ্গা ব্লকের বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম নয় নম্বর রাজ্য সড়কের পিরোরগাড়ি মোড় এলাকায় দাপিয়ে বেড়ালেন এবং রাস্তার উপরে থাকা সাইকেল মোটরসাইকেল টোটো এবং ছোট গাড়িকে নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড় করানোর কথা বললেন ।অযথা যেখানে সেখানে দাঁড়ালে তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ধমক দেন। তার জন্য স্থানীয় সিভিকদের উপর দায়িত্ব দেন। নিয়ম শৃঙ্খলা না মানলে তার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এবং আইন ভঙ্গকারীদের কোনোরকম বরদাস্ত করা হবে না হলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন। পথ চলতি মানুষজন আইসির এই ভূমিকায় অনেকেই খুশি। তাদের বলতে শোনা গেল এই ধরনের পুলিশ অফিসার চাই তাহলেই রাস্তাঘাটে বা হাটে বাজারে দুর্ঘটনা কম ঘটবে ।রাস্তার মাঝে সাইকেল ,মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে যায় বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *