স্বাস্থ্য কর্মীদের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু

Spread the love

স্বাস্থ্য কর্মীদের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- হটাৎ ধোঁয়া থেকে নিমেষে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে । যার জেরে কর্তব্যরত ডাক্তার,স্বাস্থ্যকর্মী সহ ভর্তিরত রোগী ও তাদের পরিজন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে।ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ শে এপ্রিল রাতে সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বড়চাতুরী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সিউড়ি থেকে দমকলের ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।অগ্নিকান্ডের ফলে মহিলা ওয়ার্ড এবং ঔষধের স্টোর রুমের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়।ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য পরিষেবা আপাতত বন্ধ থাকছে বলে গেটের মধ্যে নোটিশ টাঙিয়ে দেন। ফলে সাধারণ মানুষজনকে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী হাসপাতালটিতে পুনরায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দ্রুত চালু করার ব্যাপারে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীদের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়।উল্লেখ্য উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সহ সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল থেকে পুনরায় বহির্বিভাগে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু হয়েছে বলে জানা যায়। কতৃপক্ষের দাবি আগামী তিন দিনের মধ্যে অন্তর্বিভাগের স্বাস্থ্য পরিষেবাও চালু করার পরিকল্পনা চলছে। হাসপাতালটি পুনর্জীবিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার গৌরব বায়েন,ডাক্তার রিজওয়ান,ডাক্তার ইউসুফ ও চক্ষুর ডাক্তার হেমন্ত পাল ।এছাড়াও নার্সিং স্টাফ কেয়া চক্রবর্তী, স্বাতী পাল,রেবিনা খাতুন, বসিরুন্নেসা,তন্দ্রা বিশ্বাস,শর্মিলা সোরেন, অন্বেষা ক্লিনিক কাউন্সিলররা, ফার্মাসিস্ট ইকবাল, ব্লক এক্যাউন্ট ম্যানেজার জাভেদ ইকবাল,গ্রুপ ডি স্টাফ পিযূষ চক্রবর্তী,বিকাশ হাজরা ও ক্যাজুয়াল কর্মী গোপীনাথ বাগ্দী প্রমুখ। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে দ্রুত সংস্করণ করিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু হওয়ার জন্য স্বভাবতই এলাকায় সাধারণ মানুষজন আনন্দিত এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বড়চাতুরী
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার বায়েন এই অসাধ্য সাধন করার জন্য অঙ্গীকার করেন এবং হাসপাতাল থেকে সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা প্রদানের জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। উল্লেখ্য এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রে নির্ভরশীল রয়েছে খটঙ্গা,নগরী,চন্দ্রপুর ও ঝাড়খণ্ডের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩০-৩৫ টি গ্রাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *