অভিযোগ ছাড়া বীরভূমে ভোট দান পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে
সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম;- ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ৮ টি কেন্দ্রে তথা রাজ্যের অন্যান্য ৬ টি কেন্দ্রের ন্যায় বীরভূমের দুটি আসনেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৩ ই মে। জেলার দু -একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট পর্ব মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবে বলে সূত্রের খবর।সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যায় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের হার ৭৭.৭৭ এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ৭৫.৪৫ শতাংশ।ভোটদানের প্রাক মুহুর্তে বোলপুরের ইলামবাজার ব্লকের ৮ নম্বর সংসদের ১২০ নম্বর বুথে ইভিএম মেশিন খারাপ হওয়ার ফলে ৩৫ মিনিট ভোটদান বন্ধ থাকে।অনুরূপ খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর পঞ্চায়েতের বনকাটা গ্রামের ৭৩ নম্বর বুথেও ইভিএম চালু করার সময় গন্ডগোল দেখা দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভোট শুরু হতে ৫০ মিনিট বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে খবর দেওয়া হলে ইভিএম টেকনিশিয়ান এসে ঠিক করে যান এবং ৭.৫০ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের জুনিয়র গার্লস স্কুলের ১৪৯ নম্বর বুথে নির্ধারিত সময়ে ভোট শুরু হওয়ার পর ইভিএম মেশিন খারাপ হয়ে যায়। প্রায় আড়াই ঘন্টা বাদে ফের ভোটদান পর্ব শুরু হয়। এর ফলে অনেকেই রোদ গরমের বিরক্তিতে বাড়ি ফিরে যায়। ইভিএম খারাপ বা ভোটদান বন্ধ থাকার খবর পেয়ে উক্ত ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ছুটে যান বাম- কংগ্রেস জোটের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রসিদ।এনিয়ে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা মিল্টন রসিদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
যদিও মিল্টন রসিদ বলেন, আমি কেন প্রভাবিত করতে যাব? ইভিএম খারাপ, ভোট গ্রহণ বন্ধের খবর শুনেই প্রার্থী হিসেবে ছুটে এসেছি। এদিন খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটা বুথে কোথাও ভোটের এজেন্ট বসতে না দেওয়া এবং ভোটের এজেন্টের সই না মেলায় বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তোলে বিজেপি। এ অভিযোগের তীর কোথাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবার কোথাও প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠে। যদিও খয়রাশোল ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস কোর কমিটির সদস্য উজ্জ্বল হক কাদেরী বলেন প্রশাসনগত ভাবে কি করছে না করেছে সেটা আইনের ব্যাপার।কিন্তু তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে খয়রাশোল ব্লকের কোথাও বিরোধী দলের এজেন্টদের প্রতি এরূপ আচরণ করা হয়নি।তাদের পায়ের তলায় মাটি না থাকা বা হেরে যাওয়ার আতঙ্ক থেকে এসব ভূল বকছে।
বীরভূম লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে ঘুরছি। মানুষের চোখের ভাষা এবং উচ্ছাস দেখে যেটুকু বুঝেছি জয় নিশ্চিত। শতাব্দী রায় বীরভূমের ভোটার নন। তবে বোলপুর লোকসভার প্রার্থী অসিত মাল মাড়গ্রামের ভোটার। এদিন ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন, বোলপুর এবং বীরভূম দুটি আসনই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকছে। বীরভূমের মানুষ কেন্দ্র সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে ভরে ভোট আঁটকানো যাবে না। অনুব্রত মণ্ডলের অবর্তমানে মানুষ অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বাম- কংগ্রেস জোট প্রার্থী মিল্টন রসিদ মাড়গ্রাম এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় নিজের ভোট দেন।খয়রাসোল ব্লকের নওপাড়া গ্রামের ৫৯ নম্বর বুথে নতুন ভোটার তথা এবছর প্রথম নির্বাচনে ভোটদানকারী উম্মে সাইমা ও সেখ আকাশ তাদের ভোটদানের অভিজ্ঞতা ও আনন্দের কথা ব্যক্ত করে এক সাক্ষাৎকারে।