অলিচিকি লিপির জনক পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্ম দিবস উদযাপিত মহাসমারোহে,
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- বীরভূম সীমান্তবর্তী ঝাড়খন্ডের রাণীশ্বর ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ আশ্রম প্রাঙ্গণে প্রাকৃতিক ও মনোরম পরিবেশে সাঁওতালি ভাষার অলিচিকি লিপির জনক ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সোসাইটি অব কালচার এডুকেশন এর প্রতিষ্ঠাতা পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর ১২০ তম জন্মজয়ন্তী পালিত হয় ২৩ শে মে বৃহস্পতিবার। এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলার গর্ব প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত বীরভূমের ভূমিপুত্র রতন কাহার। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন রানীশ্বর ময়ূরাক্ষী গ্রামীণ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডক্টর আব্দুল রইস খান,এস পি মহিলা কলেজের অধ্যাপক ঈশ্বর মারান্ডী,এস কে এম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা বিভাগের ডাইরেক্টর সুজিত সরেন,আশ্রমের অন্যতম মুখ্য সঞ্চালক স্বামী নিত্যব্রতানন্দ মহারাজ,বরিষ্ঠ সাংবাদিক তথা বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতির মহাসচিব গৌতম চট্টোপাধ্যায়,বীরভুমের প্রবীণ সাংবাদিক তথা কবি সনাতন সৌ প্রমুখ। পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার্থে আশ্রমের স্টেডিয়াম চত্বর এলাকায় বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জীবনী সম্পর্কে আলোকপাত করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।পাশাপাশি কথা, কবিতা পাঠ ও গানে অংশ নেয় অভিভাবকদের সাথে সাথে কচিকাঁচারাও। অনুষ্ঠান মঞ্চে লোকসঙ্গীত শিল্পী পদ্মশ্রী রতন কাহার তাঁর স্বরচিত কয়েকটি গান গেয়ে আসর মাতিয়ে দেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন অভিনন্দন মুর্মু। সঙ্গে ছিলেন ইউথ এসোসিয়েশনের সভাপতি অনিমেষ মন্ডল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,১৯০৫ সালের ৫ ই মে গ্রেটার বাংলার অন্তর্গত ময়ূরভঞ্জে পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্ম হয়। উনি বহু সংগ্রাম করে বিঞ্জান সম্মত উপায়ে সাঁওতালি ভাষার অলিচিকি লিপি আবিষ্কার করেন। সেই সঙ্গে সাঁওতাল জাতিগোষ্ঠীর ভাষা সংস্কৃতি উন্নয়নের জন্য আসেকা নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।আসেকার সংগঠনের ন্যায্য অধিকার দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে তদানীন্তন কেন্দ্রীয় সরকার ২০০০ সালের ২২ শে সেপ্টেম্বর সাঁওতালি ভাষাকে অষ্টম সূচি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।