সাধন মন্ডল,
বাঁশের লাঠি দিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগে সুমন বাগ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সারেঙ্গা থানার পুলিশ। ঘটনাটি সারেঙ্গা থানার চৌতাড় গ্রামের। মৃত যুবকের নাম সৌমেন চক্রবর্তী ( ২৭ )মৃত যুবকের বাবার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর জামিন নাকচ করে দু দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ধৃত যুবকের নাম সুমন বাগ (২৯)। বাড়ি সারেঙ্গা থানার চৌতাড় গ্রামে। আদালত সূত্রে জানাযায় ধৃতের জামিন নাকচ করে দু দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। ২৯ জুন তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অসীম গোপ জানান, তাঁর মক্কেল নির্দোষ। অভিযোগকারী উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যা মামালায় ফাঁসিয়েছে তাঁর মক্কেলকে ।
পুলিশ , আদালত ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল চারটা নাগাদ সারেঙ্গা থানার চৌতাড় গ্রামে পিটিয়ে খুন করার ঘটনাটি ঘটে। চৌতাড় গ্রামের বাসিন্দা মৃত যুবকের বাবা রণজিৎ কুমার চক্রবর্তী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন যে , বুধবার বিকালে গ্রামের পুরাতন বাড়ি থেকে তাঁর ছোট ছেলে সৌমেন এর সঙ্গে নতুন বাড়িতে যাচ্ছিলেন সেই সময় গ্রামেরই বাসিন্দা প্রতিবেশী সুমন বাগ এর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সুমন হঠাৎই পুরানো শত্রুতা বসত আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করে। সেই সময় আমার ছোট ছেলে সৌমেন থামাতে গেলে আমরা কিছু বুঝে উঠার আগে সমুন বাগ হঠাৎই বাড়ি থেকে একটি মোটা বাঁশের লাঠি এনে তা দিয়ে ছেলে সৌমেনের মাথায় জোর করে আঘাত করে। ঘটনায় সে রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়ে গেলে সুমন বাগ ছুটে পালিয়ে যায়। ঘটনায় আমি চিৎকার চেঁচামেচি করে গ্রামের লোকজনদের ডাকি। তাঁদের সহযোগিতায় ছেলেকে সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন । এই ঘটনায় বুধবারই তিনি সুমন বাগ এর বিরুদ্ধে সারেঙ্গা থানায় তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে খুন করার লিখিত নালিশ করেন। ওই নালিশের পরই পুলিশ বুধবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আজ বৃহস্পতিবার কোর্টে পাঠায়। পুলিশ বলেন ধৃত যুবককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাটির বিষয়ে বিশদ জানার চেষ্টা করা হবে। সারেঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে চৌতাড় গ্রাম থমথমে রয়েছে। গ্রাম বাসীরা শোকে মূহ্যমান।