বর্ধমান থেকে বহরমপুর মুখে যাচ্ছিল একটি যাত্রী বোঝাই বাস। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি নেমে যায় নয়ন জুলির দিকে। ঘটনায় আতঙ্কিত যাত্রীরা।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের নতুন গ্রামের কাছে বর্ধমান থেকে বহরমপুর মুখে যাচ্ছিল একটি যাত্রী বোঝাই বাস। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি নেমে যায় নয়ন জুলির দিকে।বাসে পঞ্চাশ জনের বেশি যাত্রী ছিল।
এরমধ্যে তারকেশ্বর থেকে জল ঢেলে ফিরছিলেন বেশ কিছু পুণ্যার্থী।
তাদের সকলেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়।
তারা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে জানান।
তবে এই ঘটনায় কোন আহত খবর নেই।
যাত্রীরা জানান যে বাসটার গতি থাকার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে।
বাসের আর একজন যাত্রী জানান যে, বর্ধমান থেকে নতুনহাট পর্যন্ত শতাধিক হাম্পার তৈরি হয়েছে বাদশাহী সড়কে।
আর হাম্পার পার হতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটলো।
যে জায়গায় হাম্পের দরকার নেই সেখানেও হাম্প তৈরি করা হয়েছে ।
মাঝ মাঠের মধ্যে তৈরি করে দেয়া হয়েছে হাম্প।
আমরা প্রায় ৫০ জন যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেলাম হয়তো বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো এই হাম্পের জন্য।
কার মাথা থেকে এই চিন্তা ভাবনা এসছে জানি না। হাম্প করলে কি দুর্ঘটনা রুখা যায়?
সব মিলিয়ে ভাতারে বড়সড়ো বাস দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল বেশ কিছু যাত্রী।
তবে এই ঘটনার পর যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভাতার থানার পুলিশ ।
উদ্ধার কাজে হাত লাগান তারাও।
ভাতার থেকে আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট।