অরাজনৈতিক মামলায় কেন নেই সরকারি আইনজীবী?  ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রধান বিচারপতি

Spread the love

অরাজনৈতিক মামলায় কেন নেই সরকারি আইনজীবী?  ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, 

সরকারি আইনজীবীদের কদর কি রাজনৈতিক মামলাতেই? এবার এই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বহীন মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। অরাজনৈতিক মামলায় আইনজীবীদের অনুপস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। জানা গেছে, যে কোনও মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবীদের নিয়োগ করে রাজ্য সরকারই।অরাজনৈতিক মামলায় রাজ্যের আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে তাই সরকারকেই ভর্ৎসনা করেছে আদালত। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতেও অনুরোধ করা হয়েছে।আদালত সুত্রে প্রকাশ, সুন্দরবনে বাঘের হামলায় মৃত্যুর ঘটনা দিন দিন বাড়ছে— এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই সরকারি আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায়, ওই মামলার গুরুত্ব বিচার করে আগেই সরকার পক্ষের আইনজীবীকে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত ৯ মে সেই নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার শুনানির সময় কেউ ছিলেন না বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের এই আচরণ দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, -‘রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর নয়, এমন মামলাগুলিকে গুরুত্বই দিতে চায় না রাজ্য সরকার। সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পর্শকাতর মামলা ছাড়া আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকেন না। এই আচরণ দুর্ভাগ্যজনক’। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ”সকাল থেকে ডেকে ডেকে আমরা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। রাজ্য সরকারের হয়ে কেউ আসতেই চান না। মামলার গুরুত্ব বিচার করে আগেই বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আইনজীবীকে আসতেও বলা হয়েছিল। তবু কেউ আসেননি। প্রধান বিচারপতির এজলাসেই যদি এই অবস্থায় হয়, তবে বাকি এজলাস কী ভাবে চলছে?”মামলাকারীও জানান, -‘সরকারি আইনজীবীকে বৃহস্পতিবারের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করে তাঁরা চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ আসেননি:।আদালতের ভর্ৎসনার পর প্রধান বিচারপতির এজলাসে হাজির হন সরকার পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ গালিব। কিন্তু তিনি জনস্বার্থ মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। সরকারের তরফে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ সেপ্টেম্বর। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সরকার পক্ষের আইনজীবীকে সে দিকে নজর রাখতে বলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *