খায়রুল আনাম,
জেলা বীরভূমের রাজনীতিতে এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে চর্চ্চার অন্ত নেই। গোরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে অনুব্রত মণ্ডল দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দিদশা কাটানোর সময়ও অনুব্রতকে নিয়ে চর্চ্চা চলেছে। বিগত নির্বাচগুলিতে জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস যে সাফল্য দেখিয়েছে তা অনুব্রতর তৈরী করা মাটিরই ফসল বলে মনে করা হয়। কেউ কেউ একে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করলেও, অনুব্রতর ‘ক্যারিশমা’ যে রয়ে গিয়েছে তা বার বার সামনে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতকে কেষ্ট নামেই বরাবর ডাকেন। অনুব্রত জেলে থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরাননি। অথচ ওই সময় আর্থিক দুর্নীতি ও নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করার পরই, দল থেকে সাসপেণ্ড করে দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বলেছেন, কেষ্ট জেল থেকে বেরিয়ে এলে তাকে বীরের সম্মান দিয়ে বরণ করা হবে। অনুব্রত জেল থেকে আসার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে দেওয়া কোর কমিটিতে অনুব্রতকে অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছে। সোমবার ২৫ নভেম্বর কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলের যে জাতীয় বৈঠক হয় তাতেও ডেকে নেন কেষ্টকে। আর এনিয়েও শুরু হয় চর্চ্চা। অনুব্রত যদিও বলেন, দিদির বাড়িতে ভাই যাচ্ছে, এ নিয়ে চর্চ্চার কী আছে? ওই বৈঠকের দিকে তাকিয়েও ছিল রাজনৈতিক মহল। কেননা, কেষ্ট জেল থেকে আসার পরে এদিনই দিদির মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি কেষ্ট কেমন আছিস, এটাও যেমন জিজ্ঞেস করেছেন তেমনি, তার কিছু বলার আছে কী না, সে কথাও জিজ্ঞেস করছেন। অনুব্রত সম্পূর্ণভাবে দিদির উপরে আস্থা রেখে জানিয়ে দিয়েছেন, তার কিছু বলার নেই। দিদিও জানিয়ে দিয়েছেন, জেলার কোর কমিটির মাথায় থেকে কাজ করবে কেষ্ট। এমন কী, তাকে দলের জাতীয় কর্মসমিতিতে নিয়ে গিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, জেলার রাজনীতিতে এখনও তিনি অতীতের মতোই কেষ্টর উপরে আস্থা রেখে চলতে যান। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মান্যতা পাচ্ছে বলা যায়।