ইডির অভিযানে এবার বোলপুরের শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ,
সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম
গরু পাচার মামলা ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে দীর্ঘ দুই বছর জেল বন্দি ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি শারদীয়ার প্রাক্কালে জেল মুক্তি হয়ে জেলায় ফিরে আসেন। তার কয়েক মাসের মধ্যে আজ মঙ্গলবার সাত সকালে ফের ইডির হানা। তবে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্কেনারে থাকা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের কর্নধার মলয় পীট। যা নিয়ে বোলপুর সহ জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বোলপুর সংলগ্ন মুলুকের শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ছয় আধিকারিক। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেন এবং তল্লাশি অভিযান চালান। যদিও কলেজের কর্নধার মলয় পীট তদন্ত চলাকালীন এলাকায় ছিলেন না।
তদন্তের সূত্রে জানা গেছে, শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের কর্ণধার মলয় পিঠ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারির পরে গরু পাচার সংক্রান্ত আর্থিক অনিয়মের খোঁজে বোলপুর জুড়ে তদন্ত শুরু করে ইডি এবং সিবিআই। এই মেডিকেল কলেজেও গরু পাচারের টাকার লগ্নি হয়েছে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে ও একাধিকবার মলয় পিঠকে জেলায় সিবিআই-এর অস্থায়ী দপ্তর রতনকুঠিতে,কলকাতায় ইডি ও সিবিআই-এর দপ্তরেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তবে আজকের এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য এবং কি তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে অলিখিত সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তির সংরক্ষণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। যারপরনাই এদিন শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ সহ রাজ্যের অন্যান্য ২০ টি জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ।