গ্রাম বাংলার যাত্রা শিল্প এখনও মরেনি
। সাধন মন্ডল বাঁকুড়া:—–পশ্চিমবঙ্গ কল্পতরু শিল্পী সংগঠন এবং পাঁচমুড়া চেতনা যাত্রা সমাজ এর ব্যবস্থাপনায় পাঁচমুড়া সিনেমা হলের সামনে তিন দিক খোলা মঞ্চে ছদিনব্যাপী যাত্রাপালা প্রতিযোগিতা চলছে । আজ চতুর্থ দিনে ” কলির দুর্গা ধরেছে ত্রিশূল “বই মঞ্চস্থ হচ্ছে। চতুর্থ দিনেও যাত্রা মোদী দর্শকদের সংখ্যা কমেনি পাঁচমুড়া এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এক হাজারেরও বেশি যাত্রা মোদী মানুষজন যাত্রা প্রাঙ্গণে হাজির হয়েছেন।।গ্রাম বাংলার যাত্রা মোদী মানুষের সংখ্যা এখনো কমেনি তার প্রমাণ এই যাত্রা প্রাঙ্গণ। যে ছটি যাত্রা সংগঠন এতে অংশগ্রহণ করছেন তারা হলেন পাঁচমুড়ার জনপ্রিয় চেতনা যাত্রা সমাজ, ইন্দপুর ব্লকের ডাঙ্গারামপুরের ক্ষ্যাপা বাবা যাত্রা অপেরা , রাইপুরে উদয়ন নাট্য সংস্থা , জয়পুর জিএম যাত্রা ইউনিট, ইন্দপুর শিশু সাথী অপেরা এবং গঙ্গাজলঘাটি ভৈরবপুর রংমুখ নাট্যগোষ্ঠী। দর্শকেরা বিনা পয়সায় পেট ভরে অনেকদিন পর আবার যাত্রা শুনছে। শীতের কাঁপুনি উপেক্ষা করে ভিড় উপছে পড়ছে। সবাই মিলে পাঁচমুড়া অঞ্চলের যাত্রা মোদী ব্যাক্তিদের সাজো সাজো রব। বয়স্ক মানুষের উৎসাহ কম নেই। নাতি নাতনি, দাদু দিদিমার হাত ধরে যাত্রা শুনতে সমান উৎসাহী। কে বলেছে পল্লী বাংলায় এখনো লোক নেই ? গ্রামবাংলায় যাত্রা এখনো মরেনি। এখানে উল্লেখ্য দক্ষিণবঙ্গে কার্তিক মাস থেকেই ফাল্গুন চৈত্র মাস পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় কলকাতার বিভিন্ন অপেরার যাত্রা মঞ্চস্থ হতো। টিকিট কেটে যাত্রা মোদী দর্শকরা প্যান্ডেলে প্রবেশ করতেন। বর্তমানে এই যাত্রা শিল্প অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। পাঁচমুড়ার বাসিন্দা বিশিষ্ট শিক্ষক ও পুরস্কার প্রাপ্ত মৃৎশিল্পী বিশ্বনাথ কুম্ভকার বলেন ছোটবেলায় বাবা কাকাদের হাত ধরে যাত্রা শুনতে যেতাম খুব ভালো লাগতো বেশ কিছুদিন এলাকায় সেভাবে যাত্রা মঞ্চস্থ হয়নি খুব খিদে ছিল যাত্রা দেখার। এবারে তা ভরে গেল আজ চতুর্থ দিনে এসেছি আগামী দু দিনেও যাত্রা দেখব। আধকড়া গ্রামের প্রতাপ মন্ডল সপরিবারে এসেছেন যাত্রা প্রাঙ্গনে তিনি বলেন অনেকদিন পর যাত্রা দেখতে এসেছি খুব ভালো লাগছে। পাঁচমুড়ার কুমোর পাড়ার বিভাবতী কুম্ভকার, তাপসী কুম্ভকার, মিঠুন কুম্ভকার, জয়দেব কুম্ভকার, পদ্মাবতী কুম্ভকার রা একসাথে এসেছেন যাত্রা দেখতে। তারা বলেন অনেকদিন পর আমরা এইরকম একটি আসরে এসেছি খুব ভালো লাগছে।