যদি
মৌমিতা মৌ (কলকাতা)
যদি,
আমার ভাবনা তোমাকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য না করে, আমাকে মনে রাখার কোন মানে নেই।
যদি,
আমার আবেগ তোমাকে নাড়া না দেয়, একে অপরের দুঃখকষ্ট অনুভব করতে না পারি, কান্না মুছিয়ে মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, তাহলে তোমার দিক পরিবর্তন করাই ভালো।
যদি,
আমার মন তোমাকে অনুপ্রাণিত না করে, তাহলে সংযোগ রাখতে জোর করবো না।
যদি,
আমার উপস্থিতি তোমার বিকাশে সহায়তা না করে, সময়ের হিসেব রাখা — অঙ্ক কষে বাঁচা না ভোলাতে পারে, তবে আমার অনুপস্থিত থাকা অবশ্যই উচিৎ হবে।
যদি,
আমার ভালোবাসা তোমার হৃদয় খুলে স্থায়ীভাবে জায়গা করতে না-পারে, তবে জেনো অন্য প্রেম হবেই হবে।
যদি,
তুমি আমার অভাববোধ-শূন্যতা উপলব্ধি করতে না পারো, তবে নিশ্চিত আমরা আত্মিকভাবে বাঁধা পড়িনি এক ডোরে।
যদি,
আমার শক্তি তোমাকে না জাগায়, আমি তোমার জন্য নই। আমাদের একান্ত সময়ের খুনসুটি অসহ্যকর হলে, আমাদের একা থাকায় শ্রেয়।
যাও,
তোমার সত্ত্বা’কে কী স্পন্দিত করে তা খুঁজে বের করো, এমনকি ভূত-ভবিষ্যতের দোলাচল কাটাতে বর্তমানের সামনে পিছনে তাকাতে ও থেমো না। ভালোবাসার সবচেয়ে বড় মহান কাজগুলোর একটি হল ছেড়ে দেওয়া — জোর করে ভালোবাসা হয়না।
মনে রেখো,
ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা সম্পর্কে সুগন্ধ ছড়ায়। বিকশিত করে প্রস্ফুটিত ফুলের মত, প্রজাপতির রঙিন ডানায় ভর করে স্বপ্নগুলো রামধনুর আলোর বিচ্ছুরণ ঘটায় সংসারে।
আর হ্যাঁ,
স্পন্দন ও অনুভূতি কখনও মিথ্যে হয়না। নিজের মানসিক প্রতিক্রিয়া বিশ্বাস করো, উপলব্ধি করার চেষ্টা করো আমার সান্নিধ্য আদৌও তোমাকে শান্তি দেয়! ভরসা করতে বলে! না’কি হতছেদ্দা করতে শেখায়– !!
‘ভালোবাসি’ মুখে বললেই ভালোবাসা হয়না। অনেক না-বলা অলিখিত চুক্তি থেকে যায় প্রিয় জীবনের প্রতিটি আঁকে বাঁকে, যেগুলো পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বুঝে নিতে হয় কীভাবে সাথ দেবে একে অপরকে?