শিল্প হোক তবে বেআইনিভাবে বা মানুষকে অন্ধকারে রেখে নয়- লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটি
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
বীরভূম জেলার দেওচা পাঁচমির ন্যায় দুবরাজপুর ব্লকের লোবা অঞ্চলেও কয়লা খননের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত জমি জটের কারণে আটকে রয়েছে সেই প্রকল্প। কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা হিসেবে ইতিমধ্যেই কয়েকটি সংস্থার হাত পরিবর্তন হয় তথাপি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জমি চিহ্নিতকরণ বা কয়লা উত্তোলনের কাজ এগোয়নি। এলাকাবাসীদের সাথে জমি বিবাদের জট বিদ্যমান। গঠিত হয় লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটি। বহু আন্দোলন সংগঠিত হয়।জমির ন্যয্য দাম সহ প্যাকেজ ঘোষণা করার দাবিতে সরব কৃষি জমি রক্ষা কমিটি। এদিন মঙ্গলবার কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, দুবরাজপুর থানার ওসি এবং বিডিও, জেলা পুলিশ সুপার থেকে জেলা শাসক পর্যন্ত সমস্ত আধিকারিকদের নিকট চিঠি দেওয়া হয়।কমিটির বক্তব্য এলাকার অসুবিধা জানানোর জন্যই মূলত আজকের চিঠি দেওয়া। আমরা শিল্প বিরোধী কোনদিন ছিলাম না, এখনো চাই শিল্প হোক, তবে বেআইনিভাবে বা মানুষকে অন্ধকারে রেখে কোন কাজ করা চলবে না।উল্লেখ্য এলাকায় একটি বেআইনিভাবে অফিস চলছে বেসরকারি সংস্থার, তাহা বন্ধের জন্যেও আজকে জানানো হয়। গত দুবছর ধরে অফিস চলছে এবং কিছু কিছু মানুষের কাছ থেকে জমি হাতিয়ে নিচ্ছে কৌশলে।এমনকি দেবোত্তর সম্পত্তিও নিয়ে নিচ্ছে। কোথাও ভাই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে অন্ধকারে রেখে জমি হাতিয়ে নিচ্ছে। এই সমস্ত দাবি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ।তাদের আরো বক্তব্য সুষ্ঠুভাবে, সুস্থ পরিবেশে শিল্প হোক। লোকাল প্রশাসনকে এক বছর আগে জানানো সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে ক্ষোভ ব্যাক্ত করেন। আর বেসরকারি সংস্থাটি যে বেআইনিভাবে অফিসটা চালাচ্ছে সেটা মূলত জমি কেনা বেচার জন্যই রয়েছে ।সেই সমস্ত নানান অভিযোগ সহকারে চিঠি দেওয়া হয়।লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে জেলাশাসক পর্যন্ত সমস্ত স্তরে একান্ত সাক্ষাৎকারে সিউড়িতে সেই কথাই জানালেন লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার।