মঙ্গলকোটে বালিলুট বন্ধের অন্তরালে
নিজস্ব প্রতিনিধি,
বালিলুটের অবাধ মুক্তাঞ্চল হিসাবে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট কে সবাই কমবেশি চিনেন। মঙ্গলকোটের বিখ্যাত অজয় নদের বালি পৌঁছে যেত রাজারহাট – নিউটাউনে। ২০১১ থেকে ২০২৩ এর শেষ পর্যন্ত বালিলুটের স্বর্ণযুগ কেটেছে বলে অনেকেই দাবি করেন। শাসক দলের বিভিন্ন দলীয় অফিসে মোটরসাইকেল গিজগিজ করতো। অনেক জায়গায় রাতে মুরগী – খাসির পিকনিক থাকতো।জানা যায়, মোটরসাইকেল আরোহীরা ৫০০ টাকা (তেলখরচ সমেত ) প্রত্যেহ পেমেন্ট পেতেন। কোন কোন পঞ্চায়েত প্রধান – উপপ্রধানদের গাড়ির ‘কনভয়’ এলাকায় ‘ত্রাস’ গড়তো।থানা কিংবা ব্লক অফিসে বেশি দেখা মিলতো এদের। কেউ কেউ আবার সকালে বাজারঘাট করতে এলেও দলবল নিয়ে ঘুরতেন। পাহাড়াদারদের চোখের চাওনি দেখলে বিরোধীদের ( দলীয় বিপক্ষ – বিরোধী রাজনৈতিক দল) বুক থরথর করতো। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক পেক্ষাপট বদলেছে।বিগত দেড় বছর মঙ্গলকোটে শাসক দলের বিভাজন ঘটেছে। স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে অপূর্ব চৌধুরী এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নে নজির গড়েছেন। আবার মঙ্গলকোট থেকে জেলাসভাধিপতি হিসাবে শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বিক্ষুব্ধদের একত্রিত করে অন্যমাত্রা এনেছেন। জেলাপরিষদ মেম্বার – পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বার।- গ্রাম পঞ্চায়েত মেম্বাররা কার দিকে সঠিক রয়েছেন? তা বোঝা বড় দায়! তবে স্থানীয় বিধায়কের দিকেই পাল্লা ভারী।গত এক বছর অজয় নদের বালিলুট প্রায় বন্ধ বলা যায়। শাসকদলের দুপক্ষের শক্তিশালী অবস্থান স্থানীয় থানার পুলিশের কড়াকড়ি ভূমিকা নিতে সুবিধা হয় বলে অনেকেই মনে করছেন।তবে মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ তাঁর দেড় বছর কর্মজীবনে ( মঙ্গলকোটে) যেভাবে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তাতে অনেকেরই কাছে ‘চোখের বালি’ তিনি।