অবৈধভাবে বালি মজুদের সন্ধান মহম্মদবাজার এলাকায়,ই চালান ছাড়াই বালি পাচারের অভিযোগে তিনটি ডাম্পার সহ চালক খালাসি আটক
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
অবৈধভাবে বালি কয়লা পাচার জেলা জুড়ে অব্যাহত। ফলস্বরূপ প্রায় প্রতিদিন প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযানে অবৈধ বালি ভর্তি ট্রাক্টর ডাম্পার, কয়লা সহ পাচারকারীরা ধরাও পড়ছে। এমনকি জেলা শাসক কে পর্যন্ত অবৈধ বালি পাচার রোধে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। সেরূপ ডিএসপি ডিইবি স্বপন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। যার ফলে অবৈধ বালি ভর্তি ডাম্পার, সাইকেল ভর্তি কয়লা সহ পাচারকারীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। জানা যায় সোমবার সারা রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন থানা এলাকায় অবৈধ বালি ও কয়লা পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। রাত প্রায় তিন টার সময় মহম্মদবাজার-সাঁইথিয়া রাজ্য মহাসড়কে মহম্মদবাজারের অধীনে গৌরনগরের কাছে মুর্শিদাবাদগামী বালি বোঝাই তিনটি ডাম্পার আটক হয়েছে।
প্রতিটি গাড়িতে প্রায় ১০০ টন করে অবৈধ বালি বোঝাই করা হয়েছিল। চালকদের বক্তব্য অনুযায়ী মহম্মদবাজার থানার গিরাজপুর এলাকায় বালির মজুদ রয়েছে সেখান থেকেই ডাম্পার গুলিতে বালি ভর্তি করা হয়। গাড়িতে ই-চালান না থাকায় তিনজন চালক সহ তিনজন সহকারীকেও আটক করা হয়েছে। গাড়ির চালক, সহকারী এবং মালিকদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে
আরেকটি অভিযানে সিউড়ি থানায় পাটুলিয়া মোড়ের কাছে পাকা রাস্তার উপর অবৈধ কয়লা বোঝাই ১৫টি সাইকেল আটক করা হয়। যার মধ্যে মোট ৯০টি বস্তায় প্রায় ৪ টন কয়লা রয়েছে। এই ঘটনায় হাতেনাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যদিও বাকিরা পুলিশ দেখা মাত্রই গাঢাকা দেয়। পুলিশের অনুমান দুবরাজপুর থানার ঘাট গোপালপুর থেকে আসা কয়লা বোঝাই সাইকেলগুলি কোনও ই-চালান ছাড়াই আসছে।
সিউড়ির ডিএম কারপার্কিংয়ে সাইকেল সহ বিশাল কয়লা রাখা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা শুরু করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।