নির্ভয়ার বাবার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করলেন কুণাল ঘোষ
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
অবশেষে বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে মানহানি মামলা দাখিল করলেন কুণাল ঘোষ । ইতিপূর্বে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন। এবার তিলোত্তমার বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে নির্ভয়ার বাবার বিরুদ্ধে তিনি মানহানির মামলা দায়ের করেন।অভিযোগ, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে নির্ভয়ার বাবা বলেন, -‘সিবিআই টাকা খেয়ে তদন্ত চেপে দিয়েছে।সিবিআইকে টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কুণাল ঘোষ সিজিও কমপ্লেক্স-এ গিয়ে টাকা দিয়ে সমস্ত কিছু ‘সেটেলমেন্ট’ করিয়েছেন’। সংবাদমাধ্যমের সামনে নির্ভয়ার বাবার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আগেই আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এবার মানহানির অভিযোগ তুলে ব্যাঙ্কশাল আদালতে মামলা দায়ের করলেন।গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে নির্ভয়ার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই। কিন্তু, সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্ভয়ার বাবা-মা। সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে তাঁরা সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গেও দেখা করেন। এই নিয়ে নির্ভয়ার বাবা পরে বলেন, -‘সিবিআই ডিরেক্টর তাঁদের বলেছেন, মামলাটি তাঁরা ছেড়ে দিতে চান’।পরে একটি সাক্ষাৎকারে নির্ভয়ার বাবা অভিযোগ করেন, “সিবিআই-কে টাকা খাইয়েছে রাজ্য সরকার। কুণাল ঘোষ গিয়ে সেটেলমেন্ট করে এসেছেন।” তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল লেখেন, “মিথ্যাচার ও নাটকের সব সীমা পার করেছেন উনি।” এরপর গত ১২ অগস্ট তিলোত্তমার বাবাকে আইনি নোটিস পাঠান কুণাল। সেইসময় তিনি জানিয়েছিলেন, চার দিনের মধ্যে জবাব না পেলে আদালতে যাবেন। এবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তিলোত্তমার বাবার বিরুদ্ধে তিনি মানহানির মামলা দায়ের করলেন। নির্ভয়ার বাবা-মার প্রতি সমবেদনা জানিয়েও একাধিকবার কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছেন, একটি রাজনৈতিক দলের কথায় প্রভাবিত হয়েছেন নির্ভয়ার বাবা-মা। বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে গত ৯ অগস্ট কেন তাঁরা নবান্ন অভিযান করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।যদিও আগেই নির্ভয়ার বাবার প্রতি পূর্ণ সম্মান এবং সহমর্মিতা জানিয়ে কুণাল জানান, “আমার পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। একটা জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। অপরাধী শাস্তি পেয়েছে। আমরা সবাই ন্যায় চেয়েছি এবং পেয়েছি। কিন্তু উনি যা মুখে আসবে বলে যাবেন, যে যা শেখাবে তাই বলবেন, তা হতে পারে না। উনি ক্ষমা না চাইলে কোর্টে এসে যা বলেছেন, তার প্রমাণ দিতে হবে।” বলে রাখা ভালো, গত ৯ আগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেন আরজি কর হাসপাতালে মৃত ডাক্তারের বাবা-মা। সেখানেই রাজ্য সরকার ও সিবিআইকে জড়িয়ে এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন তাঁরা ।