আয়নায় অবয়ব
সোমা ঘোষ (কলকাতা)
আমরা আমাদের ‘আমি’টাকে চিনেও না চেনার উপায় খুঁজি বা ভান করি!
জেনেও অজানা ভেবে এড়িয়ে যাই।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে যে মানুষটা.. তাকে দেখতে পাচ্ছি, অনুভব করতে পারছি তারপরেও প্রতিদিন তিলে তিলে মারছি,
বুঝতে পারছি সে ভালো নেই,
দম বন্ধ হয়ে আসছে.. মন ক্ষত বিক্ষত!
তথাপি তাকে জোর করছি,
মানিয়ে নিয়ে চুপ থাকতে বলছি।
দুঃখ গুলোকে লুকিয়ে রাখার পাঠ পড়াচ্ছি!
আমার সামনের মানুষটাকে কষ্টে রাখছি, অন্যদের ভালো রাখতে,
চারপাশের সবকিছুকে স্বপ্নের মতো সুন্দর করে সাজাতে বা অপরকে সুখী রাখতে!
কি ভীষণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে দর্পণে বাস করা মানুষটা!
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত অন্যায় করে চলেছি অবয়বের সাথে।
জীবনের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পর..
সেও একদিন উচ্চস্বরে বলবে, প্রশ্ন তুলবে..
আরশির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তিটা,
ভুলগুলো গিলে খেতে খেতে ক্লান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলবে, অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে বাধ্য করেছিলে কেন?
স্বপ্নকে মেরে ফেলতে বলেছিলে কেন?
কেন করলে আমার সাথে এই অবিচার?
কেন?কেন? কেন?
আমার দুঃখের বিনিময়ে অন্যের সুখ কিনেছিলে কেন?
সেদিন প্রতিবিম্বের সামনে থাকা মানুষটা উত্তর দিতে না পেরে অক্ষমতাকে আপন করে নেবে।
পরিস্থিতি অনুযায়ী পাগলেও নিজেকে বাঁচাতে সড়কের দ্রুতগামী গাড়ির থেকে দূরে সরে যায়,
শুধু আয়নার ঠকে যাওয়া মানুষটা একই জায়গায় রয়ে যায়!!