দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো ‘শ্রীসঙ্গীতম’ এর বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সৌভিক সিকদার, দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান -:
শিল্প শহরের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চার শহর হিসাবে দুর্গাপুরের আলাদা একটা ঐতিহ্য আছে। সাংস্কৃতিক শহর হিসাবে দুর্গাপুরের পরিচিতি সবার সামনে তুলে ধরার জন্য যেসব সংস্থা সর্বদা সচেষ্ট আছে তাদের অন্যতম হলো ‘শ্রীসঙ্গীতম’। নামের প্রতি সাযুজ্য রেখে সংস্থার কর্ণধার গৌতম দাস বিগত ২৩ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গীত শিখিয়ে আসছেন।
দুর্গাপুরের মার্কনীতে 'স্বপন ব্যানার্জ্জী স্মৃতি মঞ্চ'এ প্রায় সারাদিন ব্যাপী সংস্থাটির বাৎসরিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এবারের অনুষ্ঠানে সংস্থার পক্ষ থেকে বিখ্যাত গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক প্রয়াত শচীন দেব বর্মন ও রাহুল দেব বর্মনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয় ।
অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক সঙ্গীত শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সংস্থার শিল্পীরা। কবি পরিমল দাসের নেতৃত্বে দুর্গাপুর 'কয়্যার' এবং' শ্রীসঙ্গীতম' এর শিল্পীদের পরিবেশিত সঙ্গীত উপস্থিত শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। প্রত্যেকেই তাদের পরিবেশিত সঙ্গীতের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এর আগে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার গৌতম দাস। তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অন্তরা সিংহরায়, চন্দ্রা পাঁজা সহ অন্যান্যরা। এছাড়া শচীন দেব বর্মন ও রাহুল দেব বর্মনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাঁদের প্রতি সম্মাননা প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারক চ্যাটার্জী , শাশ্বতী কোয়ার, হিমাংশু বাদ্যকর, ব্রততী চৌধুরী, তিমির বরণ সাহা, মধুমিতা সরকার সহ আরও অনেক বিশিষ্ট জন। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে বরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি তথা বাচিক শিল্পী অন্তরা সিংহরায় এবং চন্দ্রা পাঁজা। তাদের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানটিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।
গৌতম বাবুর ভূয়সী প্রশংসা করে অন্তরা দেবী বলেন, গৌতম বাবুর মত সংস্কৃতি প্রেমীদের সৌজন্যে আজও সাংস্কৃতিক চর্চার শহর হিসাবে দুর্গাপুর তার অতীত ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এটাই দুর্গাপুরবাসীদের কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা। আশাকরা যায় আগামীদিনে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান শহরের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এগিয়ে আসবে।
উপস্থিত শিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গৌতম বাবু বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চার শহর হিসাবে নতুন করে দুর্গাপুরের পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নাহলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রয়োজন আছে। তাই আমরা প্রতিবছর ভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। সবার উপস্থিতি তিনি কামনা করেন।