বর্ষা মরশুমে বেশ কয়েকটি নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফুলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় আজকে পদ্ম ছাড়া প্রায় সমস্ত ফুল অনেকটা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
জুলফিকার আলি,
চলতি বছরের বর্ষায় বেশ কয়েকটি নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের ফুলচাষ সংশ্লিষ্ট জেলার ফুলের চাষ ভীষণভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফলস্বরূপ পদ্ম ছাড়া সমস্ত রকম ফুল বারে বারে ক্ষতির মুখে পড়েছে। মূলতঃ দোপাটি-গাঁদা-অপরাজিতা-রজনীগন্ধা সহ বিভিন্ন ধরনের পাপড়িযুক্ত ঝুরো ফুলের পাঁপড়ির মধ্যে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়ে পাপড়ি পচে ফুলের গুণমান নষ্ট হয়েছে। নিচু এলাকার কিছু ফুলের বাগানে জল জমে গিয়েও ক্ষতি হয়েছিল। সব মিলিয়ে পুজোর কয়েকদিনের ফুলের বিপুল চাহিদা পূরণে যোগানের সংকট দেখা দেবে এবং স্বভাবতই দাম বাড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেইমত আজকে রাজ্যের বৃহত্তম কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার সহ জেলার ফুলবাজারগুলিতে ফুলের দাম অনেকটাই চড়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। আজকের পাইকারি ফুলবাজারগুলিতে ঝুরো লাল গাঁদা ৮০-১০০ টাকা,হলুদ গাঁদা ১২০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তিন ফুট সাইজের লম্বা লাল গাঁদা ফুলের এক একটি মালা বিক্রি হয়েছে ১৫-১৮ টাকা। ওই একই সাইজের হলুদ এক একটি মালা বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা। অন্যদিকে দোপাটি ঝুরো প্রতি দাম ছিল ৫০ টাকা, অপরাজিতা দাম ছিল ৩০০ টাকা প্রতি কেজি। এক কিলো রজনীগন্ধার দাম ছিল ৩৫০-৪০০ টাকা। পদ্ম বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ৮-১০ টাকা দরে। হাজার জবার কুঁড়ির দাম ছিল ৩০০ টাকা। সব মিলিয়ে ওই ফুলগুলোর দাম অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ছিল অনেকটাই বেশি।
সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,দুর্গাপূজার কয়েকটি দিন রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপক ফুলের চাহিদা থাকে। অষ্টমী পূজার দিন ১০৮ টি করে পদ্ম আবশ্যিক হওয়ায় ওইদিনের বিশাল পরিমাণ পদ্মের চাহিদা মেটানোর জন্য কয়েকদিন আগে থেকে সাধারণত পদ্ম ব্যবসায়ীরা হিমঘরে পদ্ম মজুত করে। চলতি বছরে বড় ধরনের রাজ্যের ফুলচাষ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে বন্যা না হওয়ায়,দুর্গাপূজো এগিয়ে আসায় এবং মাঠে ব্যাপক পদ্মের চাষ হওয়ায় এ বছর পদ্মের ফলন বেশ ভালো। ফলস্বরূপ পদ্মের যোগানে ঘাটতি নেই। কিন্তু অন্যান্য পাপড়িযুক্ত বিভিন্ন ঝুরো ফুলের যোগান খানিকটা কম থাকায় আজকের বাজারে ওই ফুলগুলির দাম ছিল অনেকটাই চড়া।