বানর ও হনুমানের শিকার হচ্ছে আমজনতা……
জুলফিকার আলি,
হাওড়া জেলার বিভিন্ন স্টেশনে ও আধা শহরের বিভিন্ন স্থানে বানর ও হনুমানের অত্যাচার সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জন জানান আমাদের প্রতিনিধিকে। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল বানর ও হনুমানের অবস্থা।আট থেকে আশি বাদ যাচ্ছে না কেউই। প্রকৃতি ও পরিবেশ কর্মী সিরাজাম মনিরা বলেন নানান কারণে নির্বিচারে দিনের পর দিন যেভাবে গাছ গাছালি কেটে ফেলা হচ্ছে তার ফলে গ্রামীণ এলাকা থেকে বানর ও হনুমানের শিকার দল এখন শহর এলাকায় গিয়ে পৌঁছেছে। কখনো কখনো গ্রামীণ এলাকায় কৃষি খেতে ও ডাঙ্গার ফল মূল নষ্ট ও নানান ধরনের গাছ পালার উপর গিয়ে উপদ্রব করছে ও আমজনতা র উপর ঝাপিয়ে পড়ে রক্তাক্ত ও আহত করেছে। আবার হাতে বাজারের ব্যাগ ও খাবার দাবার নিয়ে গেলে হাত থেকে কেড়ে নষ্ট করছে ও খেয়ে নিচ্ছে বলে জানা গেল।ফলে গ্রামীণ ও শহর এলাকার বেশ কিছু এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কখনো কখনো বন বিভাগের আধিকারিক বর্গরা পরিস্থিতি সামাল দেন বলে জানান গৃহ বধু আম্বিয়া বেগম। পশ্চিমবঙ্গ বাই সাইকেল ট্যুরিস্ট এ্যাসোসিয়েশন এর দলনেতা সৌরভ রায় আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারের বিভাগের আধিকারিক বর্গদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান। বৃক্ষ রোপন যতো বেশি বেশি করা হবে ততোই পশু পাখি বন্য প্রাণীর বিচরণ পরিধি বৃদ্ধি পাবে। ক্রমশ আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে বৃক্ষ ছেদন ,বনাঞ্চল ও জলাশয় ভরাট করে বসতবাড়ি অত্যাধুনিক নির্মাণ চলছে ফলে বনাঞ্চল জলাশয় ধংস হয়ে যাচ্ছে,ফলে প্রকৃতির রোষানলে পড়তে হচ্ছে দেশের আমজনতাকে। যতো দিন যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে খরা, বন্যা,ধ্বস। আগামী ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এক সুন্দর পরিবেশ ও প্রকৃতি আমাদের রেখে যেতে হবে এঁকে ধংস করার অপো প্রয়াস বন্ধ করতে হবে সরকারি উদ্যোগে বলে জানান প্রাক্তন শিক্ষক ও চার বারের বিধায়ক অসিত বরণ মিত্র।