আইটিসি’সানরাইজের স্বাস্থ্য প্রদেশ প্রোগ্রাম ১.৫ মিলিয়ান মহিলাকে শক্তিশালী করছে
দুর্গাপুর ১৮ নভেম্বর ২০২৫: পূর্ব ভারতের শীর্ষস্থানীয় মশলা ব্র্যান্ড আইটিসি লিমিটেডের সানরাইজ স্পাইসেস তার ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগ ঘোষণা করল—সানরাইজ স্বাস্থ্য প্রদেশ প্রোগ্রাম। এটি একটি বিশাল সমাজ-সংযোগ ক্যাম্পেইন, যা খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে এবং খাদ্য নিরাপত্তার অনুশীলনকে মজবুত করে ভারতজুড়ে নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর সমাজ গড়ে তুলবে।
এনজিও রাজাবাজার এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (রিডস)-এর সঙ্গে যৌথভাবে চালানো এই প্রোগ্রাম পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, আসাম এবং আন্ধ্রপ্রদেশ কভার করবে। এতে লক্ষ লক্ষ পরিবার এবং খাবার তৈরিকারীদের সাথে সরাসরি সংস্পর্শে আসা যাবে।
স্বাস্থ্য প্রদেশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে দুটো ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ একসঙ্গে চালু হবে, যা সমাজ এবং পরিবারের স্তরে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রথমটি ফোকাস করছে সেই অজানা বীরদের ওপর, যারা প্রতি বিয়ে-উৎসবের সময় কোটি কোটি মানুষকে খাওয়ায়—কুক, ক্যাটারার এবং রাস্তার খাবার বিক্রেতারা। তারা মহল্লার মানুষকে খাবারের মাধ্যমে একত্রিত করে। বড় বড় বিয়ের ভোজ থেকে লোকাল মেলা আর উৎসবের ভিড়—এই খাবার তৈরিকারীরা নিশ্চিত করেন যে আনন্দের প্রতিটা খাবার নিরাপদ এবং পুষ্টিকর। গাইডলাইন অনুসারে। গাইডলাইন অনুসারে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করতে প্রোগ্রামটি ক্যাটারার এবং বিক্রেতাদের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তার সচেতনতা বাড়াবে, বিশেষ ফোস্ট্যাক (ফুড সেফটি ট্রেনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন) সেশনের মাধ্যমে, যা গাইডলাইন অনুসারে। ট্রেনিংয়ের পর অংশগ্রহণকারীরা পরীক্ষা দেবেন, এবং যারা পাস করবে তাদের অফিসিয়াল ফোস্ট্যাক সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এটি শুধু ভোক্তাদের ভরসাই বাড়াবে না, খাবার হ্যান্ডলারদের পেশাগত বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নকেও তুলে ধরবে। সময়ের সঙ্গে এই উদ্যোগ লক্ষ লক্ষ ভোক্তার জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে—যাতে বিয়ে, উদযাপন এবং বড় সমাবেশে পরিবেশিত খাবার শুধু সুস্বাদু নয়, নিরাপদও হয়।
দ্বিতীয় উদ্যোগটি খাবারে ভেজাল নিয়ে সচেতনতা তৈরি করে মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেয়। এটি পশ্চিমবঙ্গের ১০টি জেলায় ১.৫ মিলিয়ানেরও বেশি মহিলাকে ভেজাল খাবারের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সংবেদনশীল করবে। মহিলাদের দেওয়া হবে এফএসএসএআই’র ডার্ট (ডিটেকশন অফ অ্যাডালটারেশন বাই র্যাপিড টেস্ট) বুকলেট, লেবেল পড়ার আইইসি ম্যাটেরিয়াল এবং ভেজাল পরীক্ষার কিট—যাতে তারা ভেজাল খাবার শনাক্ত করে নিরাপদ বিকল্পের দিকে যেতে পারে। সমাজ-স্তরের এনগেজমেন্টে থাকবে স্বাস্থ্য ক্যাম্প, হাটের কার্যক্রম, যা মহিলাদের অনুপ্রাণিত করবে নিরাপদ খাবার তৈরি করতে।
লঞ্চ অনুষ্ঠানে আইটিসি স্পাইসেসের বিজনেস হেড শ্রী পিয়ুষ মিশ্র বললেন, “সানরাইজ দশকের পর দশক ধরে ভারতীয় রান্নাঘরের বিশ্বস্ত নাম হিসেবে রয়েছে। স্বাস্থ্য প্রদেশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও মজবুত করছি। ক্যাটারার, খাবার বিক্রেতা এবং মহিলাদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে ক্ষমতায়িত করে এই উদ্যোগ সচেতনতার থেকে এগিয়ে দৈনন্দিন অনুশীলনকে বদলে দেবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে।”
আইটিসি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অফ ফুড সায়েন্সেস ড. শান্তনু দাসও বললেন, “আইটিসি সানরাইজ স্বাস্থ্য প্রদেশ প্রোগ্রাম দেশে খাদ্য নিরাপত্তার সংস্কৃতি গড়ে তুলছে, এফএসএসএআই’র ফুড সেফটি ট্রেনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন (ফোস্ট্যাক) মডিউলগুলোকে কাজে লাগিয়ে। এই প্রোগ্রাম কুক, ক্যাটারার এবং খাবার বিক্রেতাদের সেরা অনুশীলন বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করবে। বৈজ্ঞানিক ক্ষমতা গড়ে তুলে এবং সার্টিফিকেশন দিয়ে প্রোগ্রামটি গ্রাহকের সুরক্ষা এবং ভারতের খাবার হ্যান্ডলিং ইকোসিস্টেমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করে। এমন বিজ্ঞান-ভিত্তিক উদ্যোগগুলো লক্ষ লক্ষ-র স্বাস্থ্য রক্ষা এবং এমন সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য অত্যাবশ্যক, যেখানে নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে প্রতিটা খাবার উপভোগ করা যায়।”
সানরাইজ স্বাস্থ্য প্রদেশ প্রোগ্রামের লঞ্চ ইভেন্ট শেষ হলো স্থানীয় রাস্তার খাবার বিক্রেতা, ক্যাটারার এবং কাছাকাছি গ্রামের মহিলাদের অংশগ্রহণের সাথে। তারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন এবং বললেন এই প্রোগ্রাম কীভাবে সমাজকে উন্নত করবে এবং স্বাস্থ্যকর সম্প্রদায় গড়বে। এই প্রোগ্রাম আইটিসি’র নিউট্রিশন কৌশলের সঙ্গে মিলে যায় – “হেল্প ইন্ডিয়া ইট বেটার”- যা পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাবার সরবরাহ করা, টেকসই খাদ্য ইকোসিস্টেম গড়া, স্বাস্থ্যকর সম্প্রদায়কে সমর্থন করা এবং সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগোয়।
