পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিকে বাজিমাত
সেখ সামসুদ্দিন, ২০ মেঃ মেমারি ১ ব্লকের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলা গ্রামের আদিবাসী পরিবারের মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী ছিল জগন্নাথ মাণ্ডি। জন্ম থেকেই সে প্রতিবন্ধী। দুই হাত না থাকায় নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ। খর্বকায় হাতে নেই তালু, নেই আঙুলও। তাতেও দমে যায়নি সে। এবার সেই ছেলেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পা দিয়ে লিখেই এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। মা বাবা থাকতেও নেই। জন্মের পরই জগন্নাথকে ছেড়ে চলে যায় মা। বাবাও থাকে অন্যত্র। বৃদ্ধা ঠাকুমার কাছেই বড় হয় জগন্নাথ। এলাকাতেই বিয়ে হয়েছে তার পিসির। পিসির রোজগারেই চলে তাদের সংসার এমনকি জগন্নাথের পড়াশোনার খরচ। নিজে প্রতিবন্ধী, ঘরেতে অভাব, কিন্তু অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও অদম্য জেদের জোরে সমস্ত প্রতিকুল প্রতিবন্ধকতাকে দুরে সরিয়ে গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডি পার করে নুদিপুর ভুপেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের এবছরের মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী ছিল জগন্নাথ!
এবার সেই জগন্নাথই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পা দিয়ে লিখেই এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে।
গত শুক্রবার মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা গেল সফলতার চওড়া হাসি জগন্নাথ মাণ্ডির মুখে। জগন্নাথের এই সাফল্যে শিক্ষক শিক্ষিকা পাড়াপ্রতিবেশী সকলেই খুশি।