রাইপুর কৃষ্ণ মন্দিরে পালিত হলো জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব।-
—– শুভদীপ ঋজু মন্ডল ,জঙ্গলমহল, বাঁকুড়া ।_——ইসকন নামহট্ট পরিচালিত রাইপুর মদন গোপাল জিউ কৃষ্ণ মন্দিরে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালিত হল ভগবান জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব। এই স্নানযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাইপুরে কৃষ্ণ মন্দিরে সকাল থেকেই সাজো সাজে রব সকাল থেকেই ভগবান জগন্নাথ দেব, বলভদ্র ও সুভদ্র মহারানীকে নুতন সাজে সাজানো হয়েছে। মূল মন্দির থেকে নাট মন্দিরে কীর্তন সহকারে বিগ্রহকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর সেখানে উৎসব পালিত হয়। দুগ্ধ, দধী ঘৃত মধ ু সহ বিভিন্ন ফল উপকরণ ,ডাবের জল সহযোগে বিগ্রহদের স্নান করানো হয়। প্রথমে মন্দিরের অধ্যক্ষ রসময় আনন্দ প্রভু স্নান করান এবং তারপরে মন্দিরের অন্যান্য ভক্তগণ বিগ্রহকে স্নান করান। সকাল থেকেই এই উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে চলছে। নাম সংকীর্তন স্নান উৎসব শেষে বিগ্রহকে আবার মূল মন্দিরে নিয়ে আসা হবে এবং এখানেই বিগ্রহ অন্তধানে থাকবেন আগামী পনের দিন । রথের দিনে আবার জগন্নাথ দেব বলভদ্র ও সুভদ্রা মহারানী বের হবেন রথে চড়ে ভক্তদের শান্তির বার্তা দিতে। এ ব্যাপারে মন্দিরে অধ্যক্ষ রসময় আনন্দ প্রভু বলেন এটা চিরাচরিত প্রথা। ইসকনের নিয়ম নীতি মেনেই এখানে পালিত হচ্ছে জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা উৎসব। এই উৎসবে প্রায় ১ হাজার ভক্ত উপস্থিত হয়েছেন মন্দির প্রাঙ্গনে। তাদের মধ্যাহ্নের ব্যবস্থা রয়েছে মন্দির এর পক্ষ থেকে। তিনি আরো বলেন পুরীতে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা যেভাবে হয় সেভাবে করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে তার নিয়ম নীতি মেনেই স্নানযাত্রা উৎসব পালিত হচ্ছে এখানে। প্রতিবছর স্থানযাত্রা উপলক্ষে রাইপুর মদন গোপাল জিও কৃষ্ণ মন্দিরে ভক্তদের লক্ষ্য করা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রসময়আনন্দ প্রভু বলেন এ বছরও রথযাত্রা উৎসব মহা সমারোহে পালিত হবে এবং আগামী রথযাত্রার পরে আটদিন ধরে ভক্তদের প্রসাদের ব্যবস্থা থাকবে। এখানে উল্লেখ্য রাইপুরের এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন রাইপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল কুমার দে পরে তিনি তা ইসকনের হাতে তুলে দেন। দক্ষিণ বাঁকুড়ার একটি দর্শনীয় স্থান রাইপুরের এই কৃষ্ণ মন্দির। পাঁচচূড়া বিশিষ্ট এই মন্দিরটি দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত সারা বছর ধরে ই আসা যাওয়া করেন।