রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব রাজ্যের প্রাক্তন উপাচার্যরা
নিজস্ব প্রতিনিধি,
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের প্রাক্তন উপাচার্যরা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হলেন। ইতিমধ্যে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। কেন সার্চ কমিটির বাইরে গিয়ে এই পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। এবার একই প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রাক্তন ও কয়েকজন বর্তমান উপাচার্য। এদিন প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে আচার্য তথা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তাঁরা।এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য নিমাই সাহা, সিধো কানহো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দীপক কর, নেতাজী সুভাষ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রানি রাসমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মানস স্যান্যাল সহ মোট ১০ জন। আইনবিরুদ্ধ কাজ করছেন বলে জানান বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রও।সম্প্রতি রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের থেকে সাপ্তাহিক রিপোর্ট তলব করায় রাজ্যের অসন্তোষ সামনে এসেছিল কিছুদিন আগেই। এ প্রসঙ্গে এক প্রাক্তন উপাচার্য বলেন, “এখন সমস্ত উপচার্যদের বলা হচ্ছে সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে। এটা আমি আগে কখনও শুনিনি। এটার তো কোনও দরকারই নেই। এটা তো নিয়মের বাইরে গিয়ে হচ্ছে। প্রশাসনিক যে নিয়ম রয়েছে তার বাইরে তো এটা।যদি উনি কিছু খবর পেতে চান তাহলে উচ্চ শিক্ষা দফতরের হাত দিয়ে আমাদের লিখতে পারেন। আমরাও সেই অনুযায়ী উত্তর দেব। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে উল্টো হচ্ছে। উনি (রাজ্যপাল) নিবেআইনিভাবে চিঠি পাঠাচ্ছেন। উনি আমাদের নিয়ম ভাঙতে উত্সাহিত করছেন। যাঁরা নিয়ম ভাঙতে চায় না তাঁদের তাড়াতাড়ি সরিয়ে দিলেন। যাঁরা নিয়ম ভেঙেছে তাঁদের উত্সাহিত করলেন। এটা আমাদের পশ্চিমবঙ্গের কালচার নয়। আমরা কোনওদিন দেখিনি এ জিনিস।”রাজ্যপালকে এক হাত নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “উনি বলছেন তিন জনকে কনসিডার করেছেন। এই তিনজন কারা? আসলে ৩ জনই নিয়ম ভেঙে ওনাকে সরাসরি কিছু রিপোর্ট পাঠিয়েছেন”।