দীপঙ্কর চক্রবর্তী,
আরিয়ান হোসেন সেখ পারুলিয়া কুলকামিনী উচ্চবিদ্যালয়ে এবছর মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। তার মোট নম্বর ৭৭৪।বাবা প্রয়াত গোলাম সেখ।মা রীনা বেগম সেখ।বাবা দু বছর আগে মারা যান।তার পর থেকে তারা অথৈই জলে পরে যায়।মা ও ছেলে কি ভাবে লেখাপরা চালাবে বা সংসার কি ভাবে চলবে তাই ভাবনা শুরু হয়। মা একটি প্রাইভেট অফিসে ক্যাজুয়াল কাজ করে সংসার চালান।একমাত্র ছেলের পরার খরচ সব জোগান।পারুলিয়া কুলকামিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ সাহা জানান আরিয়ানরা খুব দুঃস্হ,কিন্তু খুব মেধাবী।আরিয়ান একবারে বেশি বই পরে নি।মাঝে মাঝে গান শুনতো।ক্রিকেট ও খেলতো।।স্কুলের বন্ধুদের সাথে গল্পও করতো।প্রাইভেট শিক্ষক দুজন ছিল।স্কুলের সকল শিক্ষকরাই ওকে পরাতো নোট দিত।এলাকার মানুষ সহযোগীতা করতো।আরিয়ান আরো বলে।অন্য ছেলে মেয়েদের বলবো সব বই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পরলেই হবে।তাহলেই সব পারবে।আরিয়ান বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়।এখন থেকেই উচ্চমাধ্যমিকের পড়া শুরু করে দিয়েচে।আরিয়ানের মা বলেন ওর ইচ্চে ডাক্তার হয়ে গরীব মানুষের সেবা করবে।চিকিৎসা করবে।এটাই ওর ইচ্চে।ওর বাবারও ইচ্চে চিল।প্রয়াত বাবার ইচ্ছেকে মান্যতা দিতে ও এগিয়ে চলেছে।ওর গল্পের বই পরা ও ছবি আঁকতে খুব ভালো লাগে।লাজুক,শান্ত ছেলেটি সামনের দিকে জীবন যুূ্দ্ধে কি ভাবে এগিয়ে যায় তাই দেখার।