কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লক্ষ্মণ শেঠ

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি, 

শুক্রবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন একদা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ‘শেষকথা’ বলা রাজনৈতিক নেতা লক্ষ্মণ শেঠ।এদিন তিনি জানান -” হলদিয়ার কোনও উন্নয়ন করেননি। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয় অপ্রত্যাশিত। নন্দীগ্রাম কৃষক আন্দোলনের মাটি। সেখানে বিজেপির জয় হতে পারে না। নন্দীগ্রামের মানুষ কখনওই বিজেপিকে জয়ী করবে না”। গত ২০১৬ সালে লক্ষ্মণ শেঠের স্ত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক তমালিকা পণ্ডার মৃত্যু হয়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি একা হাতে সন্তান এবং সংসার সামলেছেন। একইসঙ্গে রাজনীতির ময়দান এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও তিনি সমানভাবে কাজ করে গিয়েছেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর একাকিত্বে ভুগছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় মানসীর।এদিন নিজের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বলেন, -‘ এক ইনিংসেই কি খেলা শেষ হয়ে যায়, হয় না। আমি চেয়েছি আমার পাশে একজন থাকুক। তাই বিয়ে করেছি’। ১৯৮২ সাল থেকে তিনবার সুতাহাটা কেন্দ্র থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। ১৯৯৬ সালে তিনি তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু, সেই বার পরাজিত হন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি নিজে’ভারত নির্মাণ মঞ্চ’ নামক একটি দল গড়েন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করলেও তাঁকে বছর দু’য়েকের মাথায় বহিষ্কার করা হয়। এরপর কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি।একসময় লক্ষ্মণকে হলদিয়ার শেঠ বলা হত। হলদিয়ার একচ্ছত্র সম্রাট ছিলেন তিনি। তাঁর দাপটও ছিল দারুণ। শিল্প শহরে সমস্ত কারখানার সিটু ইউনিয়ন তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন।এখন তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি পদে আসীন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *