নিয়োগপত্র ছাড়াই শিক্ষকতার চাকরি? ‘বিস্মিত’ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
মোল্লা জসিমউদ্দিন, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে উঠেছিল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা।সেখানে বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ছাড়াই নবম-দশমের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন অনেকেই! আদালতে দাখিল রির্পোট দেখেই বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু । এদিন সওয়াল-জবাব পর্বে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, -‘ সিবিআই তদন্তে নতুন রসদ জোগাতে পারে এমন বিস্ময়কর তথ্য’।শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার এদিনের এক শুনানিতে যে তথ্য আদালতে পেশ করা হয়েছে তা জেনে বিস্মিত হয়েছেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু।সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, -‘ নবম-দশমে নিয়োগপত্র ছাড়াই চাকরি পেয়েছে অনেকে ‘। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে ৬৭টি নিয়োগপত্র পাওয়া গিয়েছে বলেও তারা এদিন সিবিআই জানিয়েছে আদালত কে । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইতিমধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় । বিচারপতি বসুর এজলাসেও একাধিক মামলার শুনানি হচ্ছে।এদিন সেই রকমই এক মামলার শুনানিতে এই বড় তথ্য সামনে উঠে এল। এই ইস্যুতে আপাতত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, -‘তদন্তে নতুন রসদ জোগাতে পারে এমন বিস্ময়কর তথ্য’।মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, -‘ ওই ৬৭ জন নিয়োগ পত্র নেননি। তাই সেগুলি পর্ষদের অফিসে পড়ে আছে’। এদিকে এসএসসি যে ভুল তথ্য দিয়েছে আদালতে তাও দাবি করেছে তারা। বলা হয়েছে, -‘ নবম-দশমে চাকরির জন্য ১৮৬টি নয় মাত্র ১৭৫টি সুপারিশ পত্র পাঠানো হয়েছিল পর্ষদে। তার মধ্যে ৫২টি সুপারিশপত্রের কোনও হার্ড কপি নেই’।জানা গিয়েছে, ৬৭ অ্যাপয়নমেন্ট লেটার পড়ে থাকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে। অ্যাপয়নমেন্ট লেটার ছাড়াই নবম-দশমে চাকরি হয়েছে ! গত ২০২০ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নবম-দশমে চাকরির জন্য সুপারিশ পত্র পাঠানো হয় ১৮৬ টি। এসএসসির তরফে এমনই রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে।এরপর এসএসসি-র তথ্য ভুল। ১৮৬ নয়, মাত্র ১৭৫ সুপারিশ পত্র পাঠানো হয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদে। ৫২ সুপারিশ পত্রের কোনও নথি(হার্ড কপি) নেই পর্ষদে। ৬৭ জন অ্যাপয়নমেন্ট লেটার নেয়নি। পড়ে আছে পর্ষদ অফিসে। এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট।