বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির হলো গুসকরায়
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
শহরের আয় ব্যয় করা হবে গ্রামের দুস্থ মানুষেদের সেবায় - এই অভিনব ভাবনাকে আঁকড়ে ধরে গত ১৪ বছর ধরে মানুষের সেবা করে চলেছে বারাসতের 'মেডিক্যাল উইসডম এলডারলি কেয়ার'।
৪ ঠা এপ্রিল এই সংস্হার উদ্যোগে এবং গুসকরা পুরসভার ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন্ত ঘোষ সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের সহযোগিতায় বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত হয় বিনামূল্যে এক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার, ইসিজি সহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়। মূলত ১২ নং ওয়ার্ডের জন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হলেও অন্যান্য ওয়ার্ড থেকেও বেশ কয়েকজন মানুষ শিবিরে আসেন এবং বিনামূল্যে এই পরিষেবার সুযোগ গ্রহণ করেন। এই শিবির থেকে প্রায় শতাধিক মানুষ উপকৃত হন।
কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার মত সারাক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর সুমন্ত ঘোষ সহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী কাজল, প্রমোদ, অরুণ, অনুশ্রী প্রমুখ। প্রতি মুহূর্তে তারা পরিষেবা নিতে আসা মানুষের দিকে খেয়াল রাখেন। এসেছিলেন শহর তৃণমূল সভাপতি দেবব্রত শ্যাম। শত ব্যস্ততার মধ্যেও শিবিরের খোঁজ নিয়ে যান গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্ণধার সহ অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে তাকে কথা বলতেও দ্যাখা যায়।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চন্দন শেখর সেনগুপ্ত
বললেন – মানুষের সেবার লক্ষ্যে গত ১৪ বছর ধরে আমরা কাজ করে চললেও ২০২০ সাল থেকে আমাদের কেয়ার-গিভার নিয়মিত প্রবীণদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলেছে এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রয়োজনীয়তা চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় আমরা তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও রাখি। আমাদের লক্ষ্য শহর এলাকায় অর্থের বিনিময়ে প্রতিবছর অন্তত দশহাজার ব্যক্তিকে পরিষেবা দেওয়া এবং সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ গ্রামের মানুষের চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যবহার করা। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যে সংস্থার প্রায় ২০ জন কর্মী গত দু’বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত চল্লিশটি শিবিরে হাজির থেকেছে। আগামীদিনে প্রতিমাসে এইধরনের একটি করে শিবির করার ইচ্ছে তাদের আছে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সুমন্ত বাবু সহ প্রত্যেকের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বললেন – এদের সাহায্য না পেলে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা কার্যত অসম্ভব।
যার উদ্যোগে এই শিবিরটি হয় সেই সুমন্ত ঘোষ (বুবাই) বললেন – আমার ওয়ার্ডের অনেক বাসিন্দা দুস্থ। সুযোগ পেয়েছিলাম তাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছি। তার ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বললেন – আমাদের চেয়ারম্যান যদি সহযোগিতা না করতেন তাহলে এই শিবিরের আয়োজন আমি করতে পারতাম না। তার কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।
কুশল বাবু বললেন - আমার সহকর্মী কাউন্সিলরদের জন্য আমি গর্বিত। নিজের ব্যক্তিগত যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে সুমন্ত যেভাবে এই শিবিরের আয়োজন করেছে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাকে বলব অন্যান্য ওয়ার্ডেও যাতে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা যায় তারজন্য উদ্যোগ নিতে।