তৃনমূল ব্লক সভাপতিকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টের জেরে গ্রেপ্তার তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্য
সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- খয়রাশোল ব্লক তৃনমূল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতা নেত্রীদের নামে সমাজ মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য এমনকি হুমকি। যার জেরে ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে খয়রাশোল থানায় মন্তব্যকারী তৃনমূল কংগ্রেসের কেন্দ্র গড়িয়া পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব পানের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল ও তাকে গ্রেফতারের দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।খয়রাসোল থানার পুলিশ ডেপুটেশন এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব পানকে আটক করে। উল্লেখ্য গোষ্ঠী দ্বন্ধের জেরে যে এই আপত্তিকর পোস্ট সোস্যাল মিডিয়ায় তা দলের ভেতরে এবং বাইরে কান পাতলেই শোনা যায়।খয়রাসোল ব্লক তৃনমূল সভাপতি সহ দলের একাধিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট করে বিরোধী গোষ্ঠী সহ প্রশাসনের কাছে চক্ষুশূল হয়ে পড়ে রাজীব। রাজীবকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে গত ৩০ শে মে থানায় স্মারকলিপি দেওয়ার ঠিক একদিন পরেই তৃণমূলের কেন্দ্র গড়িয়া পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব পানকে গভীর রাতে তাঁরই গ্রাম থেকে খয়রাশোল থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরূদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের পুলিশী হেফাজত চাওয়া হয় খয়রাসোল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। দুবরাজপুর আদালতের বিচারক ৩ দিনের পুলিশী হেফাজত মঞ্জুর করেন বলে জানান দুবরাজপুর আদালতের সরকারী আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ দে। দুবরাজপুর আদালতে রাজীব পানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কাঞ্চন অধিকারী আমার রাজনৈতিক গুরু। এখানে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। এটা আমাদের নিজেদের ব্যাপার। অপরদিকে খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী জানান, সে অন্যায় করেছে তাই পুলিশ ধরেছে। আইন আইনের পথে চলবে। আমাকে সে রাজনৈতিক গুরু বলছে। আমি দ্রোণাচার্য নয়, আর সে একলব্য’র মতো শিষ্যও নয়। আর যদি ঐরকম শিষ্য হত তাহলে তাঁর দোষ, গুণ সমস্ত কিছু মার্জনা করে দিতাম। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, এটা শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। এই দলে থেকে কোনো ভাবে দলকে উত্যক্ত করা যাবে না। অন্যদিকে দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কোনো ঘটনা নয়। এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া। এতে ভীত সন্ত্রস্ত ব্লক সভাপতি। কারণ তাঁর দলের লোক হয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করা। আবার তাঁরই বিরুদ্ধে মিছিল সহকারে থানায় অভিযোগ জমা দেওয়া। শেষে পুলিশ চাপে পড়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করার জন্য গ্রেপ্তার করল রাজীব পানকে।