নিজস্ব প্রতিনিধি,
অভিযোগ, নির্যাতিতা মহিলা এফআইআর-এর কপি পাওয়ার আগেই জামিন পেয়ে গেলেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় চাকদহ থানার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশিষ্ট আইনজীবীরা। তাদের কথায়, পুলিশ এর একাংশ কতটা দুর্নীতিগ্রস্থ সেটা এর থেকেই প্রমান পাওয়া যায়। তাই এফআইআর এর কাগজ নির্যাতিতার আগে অভিযুক্তের হাতে চলে যাচ্ছে বলে দাবি। এতে তদন্তকারী অফিসার এর ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করছেন বিশিষ্টরা। তবে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে। চাকদহ থানার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগে থানার তৎকালীন এক মেজবাবু কে ঘুষ নিতে গিয়ে হাতে নাতে ধরেছিল রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার পুলিশ। মাস ছয়েক আগে এক জুয়াড়ির মোটর বাইক থেকে মধ্যরাতে তার ব্যাগ চুরি করেছিল থানার এক সাব ইন্সপেক্টর!স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে তা ধরা পড়ে। এরপর গত সপ্তাহে থানার আর এক অফিসারের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয়েছে ডিএসপি সাহেব কে । পুরো বিষয় ভিজিলেন্স কমিশন এবং দুর্নীতি দমন শাখায় জানানো হবে বলে ওই ব্যবসায়ীর আইনজীবী জানিয়েছেন।
এর আগে এক সিআরপিএফ কর্মীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে তার দুই অত্মীয়। তাঁকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ । শনিবার তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার তাঁকে এফআইআর এর কপি দিলে তিনি কল্যাণী আদালতে যান গোপন জবানবন্দী দিতে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন অভিযুক্ত জামিন নিয়ে নিয়েছেন আগেই। বাড়ি ফিরে এলে তাঁকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপধ্যয় বলেন, ” যে ধারায় মামলা হয়েছে তাতে জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে। টাকা নিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে সুযোগ করে দিয়েছে জামিন নেওয়ার। এর তদন্ত হওয়া দরকার”। হাইকোর্টের আর এক বিশিষ্ট আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহ রায় বলেন, “তদন্তকারী অফিসার কত টাকা নিয়েছেন সেটাই এখন তদন্তের বিষয়। পুলিশের ভুমিকা ন্যক্কারজনক, নিন্দনীয়। এর তদন্ত হলেই সব ঘটনা সামনে চলে আসবে”।
রানাঘাট জেলা পুলিশের এক কর্তা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন। যদি কোন পুলিশ অফিসার দোষী প্রমাণিত হন তদন্তে , তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।