অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে বারগ্রামে বাবা পঞ্চাননের পুজো
সেখ রাজু,
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম অঞ্চলের বারগ্রামে দেবাদিদেব মহাদেব বাবা পঞ্চানন রূপে পূজিত হন । মঙ্গলকোটের উপর দিয়ে বয়ে গেছে অজয় নদী । অজয়ের তীরবর্তী গ্রাম হলো বারগ্রাম । বিংশ শতাব্দী থেকে শান্তি বিরাজের লক্ষ্যে গ্রামের সকলে মিলে অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে বাবা শিবকে পঞ্চাননরূপে পুজো করে আসছে । শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার এবং শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে ঘটা করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রামবাসীরা । প্রতিদিন শতাধিক গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে পঞ্চানন তলায় হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয় । গ্রাম সহ ভিন্ন গ্রামের পূর্ণার্থীদের উপস্থিতিতে সমগ্র গ্রাম পরিক্রমা করার পর বাবা পঞ্চানন তলায় পুজোর আয়োজন করা হয় । কথিত আছে পবিত্র মন নিয়ে কেউ যদি বাবার কাছে প্রার্থনা করেন তার মনস্কামনা পূর্ণ হয় । দীর্ঘদিন ধরে সেই রীতিকে বজায় রেখে গ্রামের সকলের পূর্ণ সহযোগিতায় মহাদিদেব শিবের অনুষ্ঠানে এক আরম্বরতা ফুটে ওঠে । উপস্থিত প্রায় 10 হাজার পূর্ণার্থীদের জন্য বাবা পঞ্চানন কমিটির সদস্যরা অন্নভোগের আয়োজন করে ।
বাবা পঞ্চানন কমিটির সদস্য রামপ্রসাদ দাস বৈরাগ্য, দিলীপ মন্ডল, হরিচরণ খা, প্রবীর খা প্রমুখরা বলেন বাপ দাদার আমল থেকে আমরা এই পুজো দেখে আসছি । সময়ের পরিবর্তনে পুজোতে জাঁকজমক হলেও আচার নিষ্ঠায় কোন পরিবর্তন হয়নি । প্রতিবছর গ্রামের সকলে একত্রে মিলিত হয়ে আমরা এই অনুষ্ঠান করে থাকি । সকলের পূর্ণ সহযোগিতায় আমাদের এই অনুষ্ঠান এক নতুন রূপ নিয়েছে । বিগত কয়েক বছর ধরেই আমরা অন্নভোগের আয়োজন করে আসছি ।
পূর্নিমা দাস, মৌসুমি মন্ডল, অপর্ণা খাঁ, সোমা খাঁ, মিতা দাস প্রমুখ বাবা পঞ্চাননের ভক্তরা বলেন প্রতিদিন আমরা নিত্য সেবার মাধ্যমে বাবার সেবা করে আসছি । বাবা হলেন অন্তর্যামী । তিনি সহজে আমাদের মনের কথা বুঝতে পারেন । বাবার মহিমায় এলাকায় অনেকে উপকৃত হয়েছেন । প্রতিবছর আমরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকি । গ্রাম সহ ভিন্ন গ্রামের অনেক পূর্ণার্থী প্রতিদিনের নিত্য সেবায় অংশ গ্রহণ করে ।