আচার্য তুলসী একাডেমী অর্কিড দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবার প্রয়োজন নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আয়োজন করল একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ
: এই মুহূর্তে আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি যে সময়ে সমগ্র বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হয়েছে বিশ্বকাপের উত্তেজনাপূর্ণ পদধ্বনি। আর এবার সেই পদধ্বনির সঙ্গে পা মেলালেন অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজন নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আয়োজন করেছিল একটি দুই দিনের ফুটবল ম্যাচ, যে ম্যাচটিতে প্রয়োজন এবং ওআইএসের শিশুদের উৎসাহপূর্ণ অংশগ্রহণ এককথায় সত্যিই চোখে পড়ার মত। উভয় তরফের এই যৌথ প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ এক রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচের পরে ১৬ ডিসেম্বর ওআইএস স্কুলের ক্রীড়াঙ্গনে শেষ হয় দুই দিনের এই ফুটবল ম্যাচ। অর্কিড দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং প্রয়োজন দ্বারা আয়োজিত এই বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিল ওআইএসের তৃতীয় শ্রেনির ১১জন শিক্ষার্থী এবং প্রয়োজনের তত্ত্বাবধানে থাকা ১১ জন শিশু।
লিটল চ্যাম্পস এবং লিটল আইডল – এই দুই নামাঙ্কিত দলে ভাগ হয়ে শিশুরা এই খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল।সবথেকে চমৎকার বিষয় হল, এই খেলায় ওআইএসের শিক্ষার্থীরা বা প্রয়োজনের শিশুরা কেবলমাত্র তাদের বিদ্যালয় বা সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেনি। প্রয়োজনের বেশ কিছু শিশু এবং ওআইএসের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে নিয়ে যেমন গঠন করা হয়েছিল লিটল চ্যাম্পস দলটি ঠিক সেই একই পদাঙ্ক অনুসরণ করা হয়েছিল লিটল আইডল দলটি তৈরী করার ক্ষেত্রেও। ওআইসের ক্রীড়াঙ্গনে প্রয়োজন সংস্থার শিশুরা এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই কোচের তত্ত্বাবধানে যৌথভাবে প্রশিক্ষণ নেয়। স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে লিটল চ্যাম্পস দল লিটল আইডলসকে ৬-৩ গোলে পরাজিত করে এবং প্রয়াজন সংস্থার রাজু সাহা লিটল চ্যাম্পদের তরফ থেকে সর্বোচ্চ গোলের অধিকারী হয়ে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার পায়। লিটল আইডলস থেকে গোল দেয় থেকে আরিয়ান সিং, ঋষি দাস এবং ইশান।
ওআইএস এবং প্রয়োজনের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস সম্পর্কে অধ্যক্ষ শর্মিলী শাহ নিজের অভিমত প্রকাশ করে বলেন- “আর্কিডিয়ানদের এই উদ্যোগ আমাকে আমি অত্যন্ত গর্বিত করেছে। এই মুহূর্তে সমগ্র বিশ্বজুড়ে ফুটবলকে ঘিরে যে আনন্দপূর্ণ উদযাপন চলছে সেই উদযাপনকে নিজেদের মতো করে উপভোগ করার জন্যই মূলত অর্কিডের তরফ থেকে প্রয়োজনের সঙ্গে এই ঐক্যবদ্ধ ম্যাচটির আয়োজন করা হয়েছিল।
কলকাতা আদতে ফুটবল প্রেমীদেরই শহর। এই শহরেই আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তার সঙ্গে এই ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছে এবং তা উপভোগও করেছে। আমাদের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্যই ছিল আমাদের ছাত্রদের মধ্যে একরকম ঐক্যের বোধ জাগিয়ে তোলা এবং খেলাধুলা কিভাবে সমগ্র বিশ্বকে একসূত্রে বাঁধতে পারে তার এক ছোট্ট নিদর্শন তৈরী করা ”।