মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
এবারের বিধানসভার ভোটের অনেক আগে থেকেই দফায় দফায় আসতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যা নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সমালোচনা করেছিল।কেননা গত লোকসভার নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির ছোট থেকে বড় নেতারা জনসভায় প্রায় বলতেন – ‘ এবার ভোটে ( বিধানসভা) দিদির পুলিশ থাকবেনা, থাকবে দাদার পুলিশ। বেশি বাড়াবাড়ি করলে সোজা হাসপাতাল কিংবা শ্মশানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে “। ইতিমধ্যেই বাংলায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণ ঘিরে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। যেখানে বোমার আঘাতে গুরতর জখম হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান । বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বাংলার পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ঘটনার রিপোর্ট নিয়ে ‘এসওপি’ আইনে আত্নরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর সুপারিশ করেছিলেন। তাতে গত সোমবার সন্ধেবেলায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন তাতে শিলমোহর দেয়।অর্থাৎ ভোটগ্রহণের সময় বেআইনী অস্ত্র হাতে দুস্কৃতিদের মোকাবিলায় আত্মরক্ষার তাগিদে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাতে পারে। প্রথম দফার ভোটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাসপুরের আড়গোরায় অঞ্চলে সশস্ত্র দুস্কৃতিদের বোমার আঘাতে এক কেন্দ্রীয় জওয়ান আক্রান্ত হওয়ায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এহেন নির্দেশ বলে জানা গেছে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে থাকছে ৬৫১ কোম্পানির কেন্দ্রীয় জওয়ান। যার মধ্যে শুধু নন্দীগ্রামেই থাকছে ২১ কোম্পানির কেন্দ্রীয় জওয়ান। রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ৩০ টি বিধানসভার নির্বাচনে ১০ হাহার ৬২০ টি বুথ থাকছে। বাঁকুড়ায় ১২০ কোম্পানি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ কোম্পানি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৯৯ কোম্পানি এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলায় ৭২ কোম্পানি সর্বমোট ৬৫১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকছে ভোট করাতে। ৬২৫ টি কুইক রেসপন্স টিম থাকবে দ্বিতীয় দফার ভোটে । এছাড়া হোভি রেডিও, ফ্লায়িং স্কোয়াড থাকবে।এতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যেমন থাকবে ঠিক তেমনি রাজ্য পুলিশের ওসি/আইসি পদমর্যাদাপূর্ণ অফিসাররা থাকবেন এই বিশেষ টিমে। গত ২০০৯ সালে লোকসভার ভোটে যাদবপুর কেন্দ্রের ১০১ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের গুলিতে তৎকালীন শাসক দল সিপিএমের এক কর্মী মারা গিয়েছিলেন। তাই এবারে সেই ঘটনা যেন রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছেছে।ইতিমধ্যেই বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের গুলি চালানোর নির্দেশে ক্ষুব্ধ হয়েছে তা বিভিন্ন রাজ্য নেতার দেওয়া বক্তব্যগুলি দেখলেই বোঝা যায়