অবৈধ নির্মাণ না ভাঙলে, আদালত অবমাননায় পড়বে পূর্ত দপ্তর
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
উত্তরবঙ্গের কুচবিহার জেলায় পুন্ডিবাড়ি থানা এলাকার কুচবিহার – বানেশ্বর – আলিপুরদুয়ার সড়কপথে বেআইনী নির্মাণ ভাঙতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৪ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুরের এজলাসে এই মামলার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ প্রশাসন। তাই মামলাকারীর আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল চলতি মাসের ৪ তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলিকে আদালত অবমাননা করা হচ্ছে বলে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে দেন। তার পরিপেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট পূর্ত আধিকারিক ৭ অক্টোবর জানিয়েছেন – ওই বেআইনী নির্মাণ ভাঙা হবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে। কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা নগেন্দ্রনাথ রায় তার জমির সামনের রাস্তার ওপর বানানো তৃণমূল পার্টি অফিস সহ একাধিক বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কলিকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেছেন। মামলাকারীর আইনজীবী বৈদুর্য্য ঘোষাল জানান – “মামলাটি মানানীয় বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুর এর এজলাসে গত ১৪ জুলাই মাসে ওঠে আর শুনানির সময় সকল পক্ষ উপস্থিত ছিলেন এবং শুনানি কালে মাননীয় বিচারপতি সরকারি আইনজীবীর মাধ্যমে পূর্ত অধিকারিককে সমস্ত অবৈধ নির্মাণগুলোর ভাঙার ক্ষেত্রে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেন”। আড়াই মাস কেটে গেলেও কুচবিহারের পূর্ত আধিকারিক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মামলাকারী তার আইনজীবী বৈদুর্য্য ঘোষালের মাধ্যমে পূর্ত আধিকারিককে আদালত অবমাননার নোটিস দেন। অবশেষে কুচবিহার পূর্ত আধিকারিক ও কোচবিহার প্রশাসন তৃণমূল পার্টি অফিস সমেত বাকি সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ১৫ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন দেখার এই ১৫ দিন সময়সীমার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে কতটা সক্রিয় হয় পূর্ত দপ্তর?