‘আদালতের কাজে গোপনীয়তা রক্ষা করা কঠিন ‘, কেন বললেন প্রধান বিচারপতি
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
আদালতের কাজে চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।বুধবার এক মামলার শুনানি পর্বে এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে দেখা যায় প্রধান বিচারপতি কে।আদালতে চুক্তিভিক্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।এদিন প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, -‘নিম্ন আদালতগুলোতে নতুন করে কোনও নিয়োগ হচ্ছে না।শুধুমাত্র পদন্নোতি ও চুক্তিভfত্তিক কর্মী নিয়োগ হচ্ছে’। বুধবার এক মামলার শুনানি পর্বে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি বলেন, -‘ বিগত বছরে উত্তর ২৪ পরগনায় শুধুমাত্র ৪৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন দিতে’। এরপরই আদালতের কাজের গোপনীয়তা রক্ষা করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিচারপতি এও বলেন, “এভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করলে আদালতের কাজের গোপনীয়তা বজায় রাখা কঠিন, দায়িত্বশীলতারও অভাব দেখা যায়।”নিম্ন আদালতে যারা বিচারকের নির্দেশ লেখেন (স্টেনো), তাঁরা কেন চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে নিয়োগ হবেন? সেই প্রশ্নও তোলেন প্রধান বিচারপতি।নিম্ন আদালতে একটি মামলার দ্রুত নিস্পত্তির আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।এদিন প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, -‘ নিম্ন আদালতগুলোতে লাখ লাখ মামলা বিচারাধীন হয়ে পড়ে আছে।সেখানকার যা পরিস্থিতি তাতে তিনি কোনও নির্দেশ দেবেন না বিচারককে’। তবে মামলাকারীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বিচারকের কাছে তাদের আবেদন জানাতে যাতে তাদের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়। উল্লেখ্য, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়ে এর আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সে সময় রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, কোষাগারে অর্থাভাবের জন্যই চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত।ওই মামলায় পুলিশেও চুক্তি ভিক্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।