আনন্দময়ীর আবাহনে রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি
অকালবোধনে জাগ্রতা দেবী দুর্গার পূজা আরাধনা চলে মর্ত্তলোকে আশ্বিনমাসের চারদিন ধরে। দেবীর আগমনকে পিতৃগৃহে কন্যার আগমন রূপে কল্পনা করে বাংলায় রচিত হয়েছে অনেক লোকগান যা আগমনী গান রূপে প্রচলিত। এই ভাবনা মাথায় রেখে জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি নিবেদন করল অনবদ্য একটি কল্পনির্মাণ “আনন্দময়ীর পদধ্বনি – আকাশে বাতাসে আগমনী সুর”। সোসাইটির শিল্পীসদস্যদের পরিবেশনায় প্রশস্ত লাইব্রেরি ঘরে এই আয়োজন করা হয় সোমবার সন্ধ্যায়। দেবী স্ত্রোত্রপাঠ ও বিভিন্ন গান সমন্বয়ে এইটির পরিকল্পনায় রঞ্জিত কুমার নায়ক, সমগ্র পরিচালনায় ললিতা সিনহা। ভাষ্যপাঠে উর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপালী বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগীতাংশে প্রতিমা সাহা, রীনা দে, কাকলি দাস, মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়া গুপ্ত, দিপালী ব্যানার্জী সিনহা, প্রশান্ত দাস, তন্দ্রিমা দত্ত, হিমাদ্রী মুখোপাধ্যায় ও ললিতা সিনহা। ভাষ্যরচনা ও সংকলনে রঞ্জিত কুমার নায়ক। সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের ৫নং বাড়ির অংশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি, যেখানে হিন্দুধর্মমতে সমস্ত আচার অনুষ্ঠান পালিত হত; আর মূল বসতবাটি ৬নং বাড়িটিতে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবর্তিত ব্রাহ্মধর্মের প্রচলন ছিল। দুই বাড়িতে দুই ভিন্ন ধর্মের আবহাওয়া থাকলেও দুই বাড়ির সদস্যদের মধ্যে যাওয়া-আসা যোগাযোগ বন্ধন অটুট ছিল। ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেবীর আবাহন অনুষ্ঠান সকলের কাছে এনে দেয় এক অনির্বচনীয় আনন্দ ও পবিত্র অনুভূতি।