এই প্রথম বার উপলের গানে মিশে গেল দেবাশিস দেবের কার্টুন ইলাস্ট্রেসন

Spread the love

এই প্রথম বার উপলের গানে মিশে গেল দেবাশিস দেবের কার্টুন ইলাস্ট্রেসন

ভুবন বাবুর স্মার্টফোন-এ গান বলতে একটাই ছবির শীর্ষ সঙ্গীত। একটু অন্য ধারার ছবি, তাই শুরুটাও অন্য ধারার। টাইটেল কার্ড থেকে সেই অন্যরকম ব্যাপার-স্যাপার শুরু। অলঙ্করন-কার্টুন এর দুনিয়ায় দেবাশিস দেব এক বিশেষ নাম বটে। ছবির শুরুতেই তাঁর হাতের জাদুর সাথে মিশেছে উপল সেনগুপ্তের গান।ছবির পরিচালক প্রণবেশ চন্দ্র এবং শান্তনু বসু। অনেক আগে বাংলা এবং হিন্দি ছবির টাইটেল কার্ডে কার্টুন,ক্যালিগ্রাফির নিদর্শন দেখা যেত। বলা চলে একটা প্রচলন ছিল। মূলত কমেডি মুভিতে এই রকম টাইটেল কার্ড চলত। তখন অবশ্য ডিজিটাল যুগ ছিলনা।অন্য পদ্ধতিতে করা হতো।চলতি কা নাম গাড়ি, পড়োশন, বাংলার চারমূর্তি, বসন্ত বিলাপ প্রভৃতি ছবির টাইটেল কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল এই শৈলি। এমনকি সত্যজিৎ রায় নিজের টাইটেল কার্ড নিজে বানাতেন যাতে ক্যালিগ্রাফি, অলংকরণ সবই তিনিই সৃষ্টি করতেন সঙ্গে থাকতো টাইটেল মিউজিক। এই ছবির টাইটেল মিউজিক কম্পোজ করেছেন বিশিষ্ট গায়ক-সুরকার উপল সেনগুপ্ত। যিনি নিজেও ছবি আঁকেন, কাগজ কেটে বানিয়ে ফেলেন হরেক রকম জিনিস। প্রণবেশ চন্দ্র মূলত বিঞ্জাপন জগতের মানুষ। গ্রাফিক আর্টিস্ট হিসাবে কাজ শুরু করে পরে বিজ্ঞাপন,ছোটো দৈর্ঘ্যের ছবি এমনকি ফিচার ছবি ‘চার দিকের গল্প’ তৈরি করেন।ভুবন বাবুর স্মার্ট ফোন তাঁর নির্দেশনায় দ্বিতীয় পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি।সহপরিচালক এবং কাহিনিকার শান্তনু বসু।ভুবন বাবু একজন চাকুরিজীবী।তাঁর জীবনে একটা স্মার্ট ফোন কি,কি পরিবর্তন নিয়ে আসে সেই নিয়েই গল্পের জাল বোনা হয়েছে। মুখ্য ভূমিকায় চিন্তা মুখোপাধ্যায়, পরাণ বন্দোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়,ঈশান মজুমদার, সিদ্ধার্থ ঘোষ প্রমুখ। উপল সেনগুপ্ত বললেন,”এই সময়ে দাঁড়িয়ে অ্যানিমেটেড টাইটেল কার্ড খুব একটা হয়না। আমার গানটা ছবির বিষয় নিয়ে একটু ধারণা দেবে। একটুকরো ঝলক বলা যায়। ছেলেবেলা থেকেই ক্যালিপসো মিউজিকের ভক্ত। বেলা ফনটের নানা গানের চলন মন টানে।চন্দ্রবিন্দুর গানেও এই ধারার সুর করেছি।ছবির মূল বিষয়কে মাথায় রেখে সুর আর গান তৈরি করেছি।প্রণবেশ খুব সুন্দর লিখেছেন।আমার খুব বড় পাওনা দেবাশিস দেব এর আঁকার সাথে আমার গানের এই প্রথম মিল হলো। ওঁর আঁকা কার্টুনের আমি একজন অনুরাগী।শীর্ষেন্দুর লেখার সাথে ওঁর অলংকরণ বা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ব্যঙ্গচিত্রের জুড়ি মেলা ভার।আমার সত্যি এটা একটা ভীষণ বড় প্রাপ্তি বটে।” প্রণবেশ চন্দ্র বললেন,”মজার ছবি তাই মজার টাইটেল কার্ড হওয়া উচিৎ।স্মার্ট ফোন নিয়ে গান লেখার সময়ই উপল দার কথা মাথায় আসে।উপল দা সুর তৈরি করে ফেলেন।এবার আসে দৃশ্যায়নের পর্ব।সহ পরিচালক শান্তনু বসুর সাথে ঠিক করি দেবাশিস দেবের কার্টুন ইলাস্ট্রেসন ব্যবহার করবো।দেবাশিস দা ছবি দেখে তৈরি করেন টাইটেল কার্ড।ছবি দেখে গান মিক্সিং করেন অভিজিৎ (টেনি) রায়।” দেবাশিস দেব বললেন,” প্রণবেশ ঠিক কোন,কোন চরিত্রের কথা টাইটেল কার্ডে ভাবছেন জেনে নিয়ে কাজটা করি।তার আগে ছবিটা দেখে নিয়ে ছিলাম।অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় চন্ডী লাহিড়ীকে দিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছিলেন। মৌচাক, ধন্যি মেয়ে, মন্ত্রমুগ্ধ ইত্যাদি।সেগুলোকে অ্যানিমেটেডও করা হয়েছিল।এই ছবির কাহিনী আগে গল্প আকারে প্রকাশিত হয় তারও অলংকরণ আমি করেছিলাম।টাইটেল কার্ড একটা ছবির ইমেজ ক্যারি করে।”ছবি মুক্তি আগামী ২ সেপ্টেম্বর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *