একুশে শে ডিসেম্বরকে ‘বিশ্ব ধ্যান দিবস’ ঘোষণা করায় আনন্দ প্রকাশ করলেন পরম পূজ্য শ্রীশিবকৃপানন্দ স্বামীজী।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ , সর্বসম্মতভাবে ভারতের প্রস্তাবিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এবং একুশে ডিসেম্বরকে ‘বিশ্ব ধ্যান’ দিবস রূপে ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্ত বসুধৈব কুটুম্বকমের ধারণাকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ –এই ধারণা হলো সমগ্র বিশ্ব একটাই পরিবার।
সদগুরু শ্রী শিবকৃপানন্দ স্বামীজী যিনি হিমালয়ান সমর্পণ ধ্যানযোগের প্রতিষ্ঠাতা, গত ৩০ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন সমর্পণ ধ্যানের মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠিত করে সাধারণ মানুষের জীবনে ধ্যানকে জুড়তে। স্বামীজী প্রায়ই তাঁর প্রবচনে বলেন যে বসুধৈব কুটুম্বকম কেবলমাত্র আমাদের পূর্বপুরুষদের একটা আদর্শ মাত্র ছিল না- এটা একটা বৈশ্বিক পরিবারের ধারণা যেখানে প্রত্যেকটা প্রাণী সমান। বিশ্বস্তরের এই একত্বের ধারণার মূল রয়েছে যোগের মধ্যে। এমন কোন একটি বই নেই, ভাষা নেই, ধর্ম নেই, যা মানব সমাজকে একটা পরিবার রূপে সংহত করতে পারে; একমাত্র যোগই মানুষকে তার অস্তিত্বের অন্ত:স্থলে যুক্ত করতে পারে।
আজ ৭২ টি দেশের মানুষ সমর্পণ ধ্যান সংস্কারের মাধ্যমে তাঁদের আধ্যাত্মিক এবং সর্বাঙ্গীণ বিকাশ করছেন ।
পরম পূজ্য শ্রীশিবকৃপানন্দ স্বামীজী রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান এবং ভারতকে তার এই প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি আনন্দ ব্যক্ত করে বলেন যে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই সিদ্ধান্ত সমগ্র মানবজাতির জন্য কল্যাণকারী। ‘আমরা গত ৩০ বছর ধরে 72 টি দেশে ধ্যানের প্রসারের জন্য প্রচার করে চলেছি। মনে হচ্ছে যেন আমাদের সেই প্রচেষ্টাই আজ পুরস্কৃত হল, ভারতের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়’।
আপনারা চাইলে ধ্যান সম্বন্ধে আরও তথ্য পাবেন গুরুতত্ত্ব গ্লোবাল ফোরামের gurutattva.org ওয়েবসাইটে এবং গুরুতত্ত্ব youtube চ্যানেলে। তথ্য ও ছবি সুবল সাহা