এমন ভালোবাসা দিও
নার্গিস পারভীন (বাজেপ্রতাপপুর, পূর্ব বর্ধমান)
প্রেমিক হয়ে ওঠাটা মুখের কথা নয়–
আর ভালোবাসি বললেই ভালোবাসা হয় না;
চাঁদের মুখ যদি মেঘে ঢেকে যায়
ঘোলা ঘোলা অন্ধকার কি, কাজে আসে?
নাকি আধাপাকা সফেদার মতো
কোষ্ঠ কোষ্ঠ লাগে আত্মার আত্মীয়তা?
অনিমেষের মধ্যে যে রাগের কোন পৃষ্ঠা নেই
সেটা অনেক আগেই উল্টে পাল্টে দেখেছিল তন্দ্রা।
তারার মিটমিটে আলোয় দূরত্বটা মেপে দেখতে দেখতে
তন্দ্রা একটা স্টার মার্ক প্রচ্ছদ খুঁজে পেল,
যেখানে লেখা ছিল–
অভিমানের উত্থান-পতন আছে, কেবল বিচ্ছেদ নেই,
কেবল মাইলস্টোন পাথরের মত আর এক মাইলস্টোন পাথর দেখিয়ে
মনে করিয়ে দেয় অভিযোগ হীন শূন্যস্থান ঠিক কতটা!
লক্ষ্য কোটি তারার দ্যোতনা’য় যখন
প্রেম চিকচিক করে ওঠে,
যেন বহু আলোয় আলোকিত কোন হীরক দ্যুতি,
যার কোন বিলুপ্তি নেই,
ফিকে হওয়ার আশঙ্কা নেই,
অথচ মনে হয় ভালোবাসা এক পরিযায়ী পাখি!
“বিরাট মহল্লার নিচে দাঁড়িয়ে
আমি যে অপেক্ষা করছি
অনিমেষ ভুলে যাইনি তো?
কোন অনিয়ম যোগ হলে প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটে,
আবার নিয়মের প্রেম ফুলে ঢাকা কফিনের মতো
বাইরের আর ভিতরের সত্তা যেন ভিন্ন জগতের বাসিন্দা!
অনড় অসম বিশ্বাসের নিরুৎসাহী স্বপ্নহীন পাহাড়ের মতো–!
আমাকে প্রেমহীন করার আগে
পারলে অনিয়মের প্রেম দিয়েও আগলে রেখো–
তোমার অনুচ্ছেদে বিশ্বাসের পৃষ্ঠাটা আমি পড়ে নেব,
অনিমেষ, প্রেমের বাগানে থোকা থোকা ফুল না ফুটুক,
দু’চারটে জোনাকি তো জ্বলবে!
এক পশলা বৃষ্টি, সাগরের উচ্ছ্বাসি ঢেউ,
পাইন বনের নীরবতা সবটাই যে আমার চাই অনিমেষ!
আমাদের বসে থাকার ঘাস গালিচায়
একটু উস্কোখুস্কো বেদনা থাকুক
তবু নিয়মের প্রেম চাই না– আমি,
পারলে একটা অনিয়মের সাইবেরিয়া দিয়ো,
একটা বিরামহীন গাঙুর দিয়ো,
তবুও নিয়মের গণ্ডিতে বেঁধে পাহাড় দিও না।
শুধু অনিয়মের বাঁধাহীন অনুজ্জ্বলতায় আমাকে ভালোবেসো!
নিয়মের গণ্ডিতে যে বহু বেদনা অনিমেষ!!
খোলা মন