‘এর তো চাকরি চলে যাওয়ার কথা’, পুলিশের ঘুষ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ঘুষ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলে। হুগলি জেলার তারকেশ্বর থানার মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। পুলিশ রিপোর্টে মহিলা অফিসারেরর টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করা হয়। সরকারি আইনজীবীর দাবি, -‘তিনি টাকা নেননি’। তাই তাকে সতর্ক করে বিভাগীয় পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে। রিপোর্ট দেখে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “কেন বিভাগীয় পদক্ষেপ?কেন ডিসমিস নয়? এর তো এখনই চাকরি চলে যাওয়ার কথা। মানুষ যে ভরসা রাখবে পুলিশকে, কী করে? যে পুলিশ অফিসার টাকা চায়, তিনি কী তদন্ত করছেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে।এটা কি সরকারের নীতি? পুলিশ টাকা চাইবে!” আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি। ওইদিন নতুন করে রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে। তারকেশ্বর থানার মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত সুত্রে জানা গেছে, বিল্টু হাজরা নামে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে প্রতিবেশীর গন্ডগোল রয়েছে । তিনি অভিযোগ জানালেও পুলিশ কিছু করেনি বলে অভিযোগ। উল্টে প্রতিবেশী তার নামে পাল্টা মহিলা ঘটিত অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য ফোনে মোটা টাকা ঘুষ চান।সেই কথাবার্তা ফোনে রেকর্ড করেন ওই যুবক। এরপর মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার কে সতর্ক করে বিভাগীয় পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। কিন্তু এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।বিচারপতির প্রশ্ন, ‘শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা কেন? চাকরি তো থাকারই কথা নয়! পুলিশ যদি টাকা চায়, সাধারণ মানুষ কাকে ভরসা করবে?’ এদিন শুনানিতেই রাজ্যকে তিরস্কার করে বিচারপতির কড়া মন্তব্য— ‘যে অফিসার ঘুষ চায়, তিনি তদন্ত করছেন কীভাবে? এটা কি সরকারের নীতি?’ আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। সেদিন ফের রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে।