‘ওয়াকফ আন্দোলনে গন্ডগোলের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হয়নি? ‘ প্রশ্ন তুললো ডিভিশন বেঞ্চ
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে ওয়াকফ আন্দোলন ঘিরে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলা। ‘কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিহা?’ মুর্শিদাবাদ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সংঘর্ষ মামলার শুনানিতে বিরক্তি প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চের। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, -‘দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কেন অনিহা প্রকাশ করা হচ্ছে? ‘দুর্গাপুজোয় সাহায্য করতে সমস্যা নেই আর এমন ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্ষতিপূরণ দিতে সমস্যা?’ প্রশ্ন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সৌমেন সেনের। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা ঘিরে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির আঁচ।প্রচুর বাড়ি-ঘর-স্থাপত্য ভাঙচুর হয়। একাধিক জনের মৃত্য়ুর খবরও আসে। সেই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এনআইএ-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে হাইকোর্টে। বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানায় -‘ হাইকোর্ট এই মামলায় বারেবারে বলার পরেও এনআইএ তদন্ত হাতে নিতে এগিয়ে আসেনি। এনআইএ মনে করলে তদন্ত নিতে পারে বলে আগেই নির্দেশ ছিল’। তারপরেও সেটা কর্যকরি হয়নি, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সৌমেন সেনের। বিচারপতি সেন বলেন , “এখানে রাজ্যের তদন্তে অনেক ত্রুটি আছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এনআইএ র সাহায্য নেওয়া যেমন হয়নি, তেমন তারাও এগিয়ে আসেনি।’রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “চার্জশিট পেশ হয়েছে। নতুন কোন ঘটনাও ঘটেনি।” ক্ষতিগ্রস্তদের আইনজীবী ক্ষতিপূরণ না দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ক্ষতিপূরণের রিপোর্টের বিষয়ে রাজ্য জানায়, “আলাদা করে এখনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। ভ্যালুয়েশন জানা সম্ভব হয়নি, তাই দেওয়া সম্ভব হয়নি।” তখন বিচারপতি সৌমেন সেন প্রশ্ন করেন, “দুর্গাপুজোয় পুনর্বাসন দেওয়া যায় আর এখানে ক্ষতিপূরণ দিতে পারছেন না?” আপাতত অন্তর্বতী নির্দেশ বহাল রেখেছে । ক্ষতিপূরণের বিষয় রাজ্য জানাবে। আগামী শুনানিতে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। ২০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।