কবি প্রণাম ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক দিবস পালন পন্ডিত রঘুনাথ মুরমু আবাসিক বিদ্যালয়ে।

Spread the love

কবি প্রণাম ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক দিবস পালন পন্ডিত রঘুনাথ মুরমু আবাসিক বিদ্যালয়ে।


শুভদীপ ঋজু মন্ডল বাঁকুড়া।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দিবস পালিত হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে। পিছিয়ে নেই বাঁকুড়া জঙ্গলমহলও। প্রতিবছরের মতো এবছরেও আজ বাইশে শ্রাবণ কবি প্রণাম ও বার্ষিক সংস্কৃতি দিবস পালন করলেন রাইপুর ব্লকের চাতরি পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়। সকাল থেকেই রবীন্দ্র মঞ্চে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর প্রতিকৃতিতে মান্য দানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন রায়পুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু,জাতীয় শিক্ষক জগবন্ধু মাহাতো, শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সাধন কুমার মন্ডল। বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সংসদ সভাপতি ডক্টর শ্যামল সাঁতরা, ডিইও বাঁকুড়া শুভঙ্কর দাস,রাইপুর উন্নয়ন আধিকারিক উদয়নারায়ন দে রাইপুর থানার আইসি পলাশ কুমার বারিক, বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ চিত্তরঞ্জন ভট্টাচার্য ,সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ প্রণতি সেনগুপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষক রাধা মাধব মুখার্জি, চঞ্চল নাথ, জগদীশ পাইন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি মানসিং মাহাতো সাংবাদিক কার্তিক ঘোষ প্রমূখ। উপস্থিত সমস্ত অতিথিবৃন্দ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা সমস্ত বক্তার বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শৃঙ্খলা বদ্ধ ভাবে শোনেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা রবীন্দ্র নৃত্য কবিতা আবৃতি রবীন্দ্র সংগীত ও নাটক পরিবেশন করেন উপস্থিত দর্শক অতিথিদের মন জয় করিনাই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাজ সচেতনতা মূলক দুটি মুকাভিনয়। প্লাস্টিক দূষণ ও মোবাইলের কুফল নিয়ে তাদের অভিনয়। জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে বুঝিয়ে দেন ডঃ শ্যামল সাঁতরা। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন আমাদের বিদ্যালয়ের বাইশে শ্রাবণ একটি ঐতিহ্যপূর্ণ অনুষ্ঠান এই দিনটি আমরা বিনম্র চিত্তে স্মরণ করি। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে। বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ডঃ শ্যামল সাঁতরা বলেন বিদ্যালয়টি জঙ্গলমহলের শান্তিনিকেতন। এই বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলাবোধ আমাকে আকৃষ্ট করেছে। বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর শ্রেণী দপ্তর যথাসাধ্য সহযোগিতা করে চলেছেন। বিদ্যালয় যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করে তারা আদিবাসী সম্প্রদায়ের। এই বিদ্যালয়ের থেকে সাঁওতালি বিভাগে পর পর চারবার রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে তাছাড়া আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় এবছর অশোকা সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন দিল্লি থেকে।আমরা গর্বিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *