মোল্লা জসিমউদ্দিন,
শুক্রবার ছিল জুম্মাবার।তাই এই পবিত্র দিনে মানবিক ভূমিকায় ফের দেখা গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশ কে। এদিন দুশোর বেশি পথ-কুকুরদের পেটপুরে মুরগির মাংস ভাত খাওয়ালো মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। প্রতিটি ব্যস্ততম জায়গায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জি এই মানবিক কাজ টি পরিচালনা করে থাকেন।সেইসাথে থানার সাব ইন্সপেক্টর প্রনব নন্দী সহ চন্দন মন্ডলদের এই মহতি কাজে আন্তরিকভাবে সহযোগিতায় পাওয়া যায়।থানার সামনে, হাসপাতাল মোড়ে, বাসস্ট্যান্ডে, লোচনদাদ সেতুর নিচে পথ কুকুরদের ডেকে খাওয়ানোর এলাহি আয়োজন ছিল।বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির কাজ থেকে খাবারের রেসিপি জেনে নেন মঙ্গলকোট আইসি।এরপর থানার পুলিশ মেসে মুরগির হাড় সহ মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না চলে। এরপর থানার গাড়ি গুলি কে নিয়ে বিভিন্ন সড়ক মোড়ে শুক্রবার দুপুরে দিকে এই খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণে এক বছরের বেশি সময়কালে প্রাথমিক – মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ।তাই সপ্তাহে ৬ দিন যেখানে মিড ডে মিলের উচ্ছিষ্ট খাবার খেত বিভিন্ন এলাকার কুকুর গুলি।এখন তা পুরোপুরি বন্ধ।তার উপর বিয়েবাড়ি, অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, জন্মদিন পালন, বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভোজও প্রায় বন্ধ বলা যায়। একাধারে স্কুলের মিড ডে মিল, অপরদিকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ভোজবাড়ি একপ্রকার বন্ধ।তাই পথ কুকুরদের পেটভরতি খাওয়া বর্তমানে দিবাস্বপ্ন বলা যায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ মুরগির হাড় সহ মাংস ভাত খাওয়ানোয় তারা যথেষ্ট তৃপ্ত । এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ( গ্রামীণ) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন – ” আমাদের বিভিন্ন থানার ওসিরা নিজ সার্মথ্যবলে গরীব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তবে মঙ্গলকোট থানার আইসি যা ধারাবাহিক কর্মসূচি নিচ্ছেন, তা সত্যিই সাধুবাদযোগ্য, অপররা অনুপ্রেরণা পাবে “। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ইয়াস প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই ৩২৫ জন পথভিক্ষুকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছিল।সেখানে ৩ কেজি ভাতের চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে পেঁয়াজ – চিনি, ৫০০ গ্রাম মুসুরি ডাল, হাফ লিটার সরষে তেল, সাবান, মাস্ক, বিস্কুট, নুনের প্যাকেট বিতরণ করেছিল।যা করোনা আবহে চলতি লকডাউনে অসহায় মানুষদের কাছে বিরাট প্রাপ্তি। মঙ্গলকোট আইসি পিন্টু মুখার্জি জানান – ” অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারলে আন্তরিকভাবে খুশি হই।এটা আমার কাছে কর্তব্য পালনের মতোই”।