মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
মারণ ভাইরাস করোনা আবহে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াটা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রক্তের জোগানে প্রায় হাসপাতালের ব্লাডবাংকে খাটতি রয়েছেই।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সারাদিন ব্যাপি পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানায় আয়োজন করা হয় এক রক্তদান শিবিরে।এই শিবিরে বেশিরভাগই পুলিশ কর্মী রক্ত দিয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক বিশেষত বিএমওএইচ ডক্টর জুলফিকার আলি রক্তদানে সামিল হন।এই শিবিরের প্রাক্কালে প্রত্যেক রক্তদাতার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক ছিল বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জি। এদিন এই শিবিরের উদ্বোধক ছিলেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ( গ্রামীণ) ধ্রুব দাস। যদিও পুলিশের এই শিবিরের উদ্বোধন করতে আসার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল জেলার পুলিশসুপারের।তিনি অন্য এক গুরত্বপূর্ণ কাজে হঠাৎ চলে যাওয়ায় মঙ্গলকোট আসা সম্ভব হয়নি।তবে তিনি মঙ্গলকোট থানার এই মানবিক প্রয়াসের সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী,।তাছাড়া কাটোয়া মহকুমা পুলিশ অফিসার কৌশিক বসাক, মঙ্গলকোট বিডিও জগদীশ চন্দ্র বারুই, মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শান্ত সরকার, ঝিলু ১ নং গ্রাম প্রধান প্রমুখ ছিলেন। মঙ্গলকোট থানার সাব ইন্সপেক্টর উত্তম চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের পরিচালনায় এই শিবিরের ১২১ জন রক্তদান করেছেন। স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর জুলফিকার আলি জানান – ” প্রত্যেক ব্যক্তি বছরের দুবার রক্তদান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনায় গতি বৃদ্ধি ঘটে। যা শরীরের হার্ট অ্যাটাক সহ নানান রোগের প্রকোপ থেকে মুক্তি দেয়”। স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন – ” আমাদের বিভিন্ন অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রক্তদান শিবির আয়োজন করার।ইতিমধ্যেই দুটি অঞ্চল এই মানবিক প্রয়াসে এগিয়ে এসেছে”।