কসিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা
সেখ রাজু,
পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বলগোনা অঞ্চলের কসিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা । বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় একদিকে যেমন সারমেয়দের উপস্থিতি লক্ষণীয় । ঠিক তেমনি বিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত কান্দরে বৃষ্টির সময় পরিপূর্ণ থাকে জলে । যে কোন সময় জলে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায় । এই বিষয় নিয়ে হেলদল নেই ভাতার ব্লক প্রশাসনের । দাবী রাখলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সহ পরিচালন কমিটির সদস্য ও এলাকার অভিভাবকরা । বলগোনা অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত কশিগ্রাম । গ্রাম্য এলাকা হওয়ায় স্থানীয়দের একমাত্র ভরসা কসিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় কিন্তু এই বেহাল দশা থাকলেও বাধ্য হয়েই অভিভাবকরা এখানে পড়াশোনা করতে তাদের ছেলেমেয়েদের পাঠান ।
রিয়া রাই মধুমিতা ঘোষ প্রমুখ অভিভাবিকারে বলেন, যবে থেকে এখানে শিশুকে ভর্তি করেছি তবে থেকেই বিদ্যালয়ের এই বেহাল দশা । এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি গেটের ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি কিন্তু কোন বিষয়ে ভূমিকা গ্রহণ করেনি প্রশাসন ।
একই দাবি স্বীকার করে নিলেন বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য রান্নার কাজে অংশগ্রহণকারী রাধুনী তপতী ঘোষ, আশালতা রায় । কর্মীরা জানান বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নেই তাই রান্না করার সময় পথ কুকুররা এখানে চলে আসে । বাচ্চাদের খেতে দেওয়ার সময় তাদেরকে তাড়িয়ে আমাদেরকে খাওয়াতে বসাতে হয় । বিল্ডিংদশা ভগ্ন প্রায় । দু একবার শ্রেণিকক্ষ সারানো হলেও পরবর্তী সময়ে একই অবস্থা হয়ে যায় । সরকার যদি এই বিষয়ে নজর দেয় তাহলে খুব উপকার হবে ।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সোনালী হালদার জানান দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই সমস্যায় ভুগছি । এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানানো হয়েছে । দেখা যাক এ সমস্যা কখন সমাধান হয়, আমরা খুব আশায় আছি ।
বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সদস্য সৌমেন ঘোষ বিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতি বিষয়ে অকপটে সব কথা স্বীকার করে নেন । তিনি জানান পাশে রাস্তা, সেখানে বাচ্চারা খেলতে চলে যায় । কাছেই কান্দর থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে । ব্লক প্রশাসনের পাশাপাশি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে ।