সুরজ প্রসাদ ,
পারিবারিক বিবাদ ও সম্পত্তির জেরে কাকাকে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠলো ভাইপোর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বছর চব্বিশের ভাইপো মহাদেব বিশ্বাসকে পুলিশ আটক করেছে।মৃতের নাম বিজয় বিশ্বাস(৬৫)। বাড়ি বর্ধমানের উদয়পল্লীতে।
সোমবার ভোরে উদয়পল্লীর বাসিন্দারা শিবপুকুর মাঠে ধানের জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বিজয় বিশ্বাসকে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তি করার পরই তাঁর মৃত্যু হয়।সন্দেহজনক ভাবে শিবপুকুরের মাঠে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পড়শিরা তাকে আটক করে।তার জামায় রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ আরো বাড়ে।পাড়া প্রতিবেশীরা চড় থাপ্পড় মারতেই মহাদেব খুনের কথা কবুল করে।খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানায়।বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহার নেতৃত্বে পুলিশ উদয়পল্লীতে যায়।অভিযুক্তকে পুলিশ আটক করে থানায় যায়।প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার বাসিন্দা শান্তি মাঝি বলেন রাতে কাকা ও ভাইপো ওই জায়গায় মারামারি করছিল।দু’জনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল।ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল ও গোঙানির আওয়াজ শুনে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দা মিনতি রায় বলেন ইট দিয়ে মুখে ও মাথায় আঘাত করা হয়।দাঁত, চোয়াল ভেঙে দেওয়া হয়। এলাকর বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী অভিজিৎ দাস বলেন মহাদেবের জামায় রক্তের দাগ দেখেই পাড়ার বাসিন্দারা নিশ্চিত হয় কাকা বিজয় বিশ্বাসকে মহাদেবই খুন করেছে। এরপর তাকে বেঁধে মারধর করতেই সে স্বীকার করে। গতকাল রাতে কাকা ভাইপো দু’জনেই সাইকেল নিয়ে রথতলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে যায়।তারপর আর বাড়ি ফেরে নি।
পড়শিরা জানান জমি জায়গা নিয়ে বিবাদ বা গণ্ডগোল বহুদিনের। এই নিয়ে তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যে অশান্তি হতো।আবার মিটয়েও যেত।কিন্তু এইভাবে মহাদেব খুন করবে কাকাকে তা তারা ভাবতে পারছেন না।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি ইঁটের টুকরো উদ্ধার করেছে।