কোক ওভেন থানার ওসির সাংস্কৃতিক প্রতিভা
সেখ নিজাম আলম — দূর্গাপুর কোক ওভেন থানার ওসি মহঃ মঈনুল হকের রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে হতবাক দর্শকবৃন্দ। ওসির মধ্যে যে এমন সাংস্কৃতিক প্রতিভা এবং হাজার হাজার দর্শকদের মন জয় করে একটা নজীর সৃষ্টি করলেন তিনি। বহু স্বনামধন্য শ্রোতাদের মধ্যে শোনা গেল, এই অনুষ্ঠানে যোগদান না করলে আমাদের পস্তাতে হোত। কবিগুরুর ৮৫ তম মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সারাদিনের রবীন্দ্রনাথে মাতোয়ারা ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমীরা। দূর্গাপুর আনন্দমেলা চ্যারিটেবল সোসাইটি উদ্যোগে দূর্গাপুর দেশবন্ধু ভবনে এই কর্মসূচিতে হাজির হয়েছিলেন প্রচুর সাংস্কৃতিক প্রেমী। রবীন্দ্রনাথের কথায় কথায় নৃত্য ও সঙ্গীতে সারাটিদিন মেতে উঠলেন এলাকাবাসী। দূর্গাপুর ছাড়াও বহিরাগত শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। মানকর সারেঙ্গী সঙ্গীত ও নৃত্য নিকেতনের নাটক ও সঙ্গীতের মাধ্যমে একটা আলাদা মাত্রা ফুটে ওঠে। বলা বাহুল্য কোক ওভেন থানার ওসি মহঃ মঈনুল হক শুধু পুলিশ অফিসার নন। তিনি একজন সাহিত্য প্রেমীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য তিনি পাগল। তাই সাড়ম্বরভাবে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন ও মহাপ্রয়াণদিবস পালন করতে কখনও ভূল করেন না। আজও তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতে মুগ্ধ সকল দর্শকবৃন্দ। তিনি যে সমস্ত থানায় ভারপ্রাপ্ত অফিসার হিসাবে কাজ করেছেন,সেই এলাকা থেকেও সাহিত্য প্রেমীকরা আজ এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে কবিগুরুর মহাপ্রয়াণ দিবস স্বার্থক হয়ে ওঠে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি স্বার্থক হতে দূর্গাপুর আনন্দমেলা চ্যারিটেবল সোসাইটির সম্পাদিকা কাকলি মূখার্জীর অবদানে প্রশংসা করেন সকলে। জানা যায়, মানুষের মন জয় করতে মঈনুলবাবু এমন অনুষ্ঠান চিরদিন চালিয়ে যাবেন।