খালিস্তানি মন্তব্য মামলায় অব্যাহতি নিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি,
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্যের একটি মামলা। এদিন এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি। সংশ্লিষ্ট মামলা টি তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির এজলাসে। কেন বিচারপতি সেনগুপ্ত এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা স্পষ্ট না হলেও, বিচারপতি জানান -‘তিনি এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের আবেদন শুনবেন না’।’খালিস্তানি’ মন্তব্য করার জন্য নাম না করে কলকাতা হাইকোর্টে বিরোধী দলনেতার নামে এফআইআর দায়ের করার আর্জি জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। সেই মামলা শুনানির জন্য যায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি। তবে অন্য মামলাগুলির শুনানি তাঁর এজলাসেই হবে। আগামী ১০ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদ করে সেখানে একাধিকবার যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু তাঁদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ধামাখালিতেও পুলিশ তাঁদের আটকে দিয়েছিল। সেই সময়ে আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিংহ (এসএস-আইবি)-এর উদ্দেশে ‘খালিস্তানি’ মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী, এমনই অভিযোগ তোলে তৃণমূল।এই বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁরা। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল এফআইআর-এর আর্জি জানিয়ে। সেই সময়ে অবশ্য এই মামলার শুনানি করেনি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। মামলা বিচারপতি জয় সেনগুপ্তই শুনবেন বলে জানান হয়।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে, প্রথমে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। শীর্ষ আদালত ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে পুনরায় তা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয়। পরে হাইকোর্ট জানায়, এরপর থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে।রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে ধামাখালিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিল বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল। সেই সময় ঘটনাস্থকে ডিউটি করছিলেন রাজ্য পুলিশের ইনটালিজেন্স ব্রাঞ্চের স্পেশ্যাল সুপার জশপ্রীত সিং।অভিযোগ সেই সময় শুভেন্দু তাঁকে ‘খলিস্তানি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। কেননা ওই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষটি তাঁর ডিউটির সময়ে মাথায় পাগড়ি পড়েছিলেন। সেই ঘটনার জেরে রাজ্য তো বটেই, দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন শিখ ধর্মের মানুষেরা।