ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী ষড়যন্ত্রের নায়ক, রহস্য উদঘাটন করে খোয়া যাওয়া মোবাইল টাকা উদ্ধার সহ ধৃত তিন ব্যক্তি
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
রহস্যজনক ভাবে ছিনতাই হওয়া মোবাইল টাকা উদ্ধার সহ তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর সিউড়ির মেটে গ্ৰামের মুদিখানার দোকান মালিক সঞ্জীব মন্ডলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানের জিনিসপত্র কিনতে দুবরাজপুর আসছিলেন সিউড়ির কুখুডিহি গ্ৰামের এক টোটো চালক নাদিম মির্ধা। ১৪ নং জাতীয় সড়ক হয়ে দুবরাজপুর সাতকেন্দুরী মোড় সংলগ্ন এলাকায় আসতেই সিনেমার শুটিং এর ন্যায় একটি স্কুটিতে দুই দুষ্কৃতী এসে অস্ত্র দেখিয়ে মোবাইল ও ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেওয়া হয় বলে টোটো চালক নাদিম মির্ধা দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামতেই পুলিশ ছিনতাইয়ের পেছনে ষড়যন্ত্রের নাটক বুঝতে পারেন। শুরু হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা। সেখান থেকেই উঠে আসে একটা ক্লু। যার ফলে তদন্তের কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা হয়। সেটা হচ্ছে ছিনতাইয়ে ব্যবহার করা স্কুটির নাম্বার। স্কুটির সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। সেই প্রেক্ষিতে দুজনকে গ্ৰেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। জানা যায় ধৃত দুজনাই নাদিম মির্ধার আত্মীয়। সম্পর্কে ধৃত সেখ আফরোজ নাদিম মির্ধার ভাই ও সেখ ইয়াসিন নাদিম মির্ধার বাবা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশ জানতে পারে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত এবং মাস্টার মাইন্ড স্বয়ং টোটো চালক নাদিম মির্ধা। সেই হিসেবে নাদিম মির্ধাকেও গ্ৰেফতার করে পুলিশ। ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি উদ্ধার হয় ৯৩ টি পাঁচশো টাকার নোট ও মোবাইল। সোমবার ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের মধ্যে সেখ ইয়াসিন ও সেখ আফরোজ এর জামিন নামঞ্জুর করে দুদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন এবং দুই হাজার টাকার বেল বন্ডে অভিযোগকারী নাদিম মির্ধার জামিন মঞ্জুর হয় বলে জানা যায়।